ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হত্যাকান্ডের প্রধান আসামীসহ ৩ জন গ্রেফতার

খুন
  © মোমেন্টস ফটো

ঈশ্বরদীতে আলোচিত রিকশা চালক মামুন হোসেন (২৫) কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চারজন প্রধান আসামীসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান আসামী সহ আরো ৩ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার(১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে  বৃহস্পতিবার(৫ জানুয়ারি)  দিবাগত রাত ২ টার সময় এ মামলা  দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ঈশ্বরদী পৌর শহরের নূর উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার উদ্দিন (৩৫), শৈলপাড়া বারো কোয়াটারের আকরাম হোসেন মিস্ত্রির ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিবুর রহমান সাকিব (১৭)।

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া থেকে আনোয়ার, পাকশী থেকে ইব্রাহিম ও রাজশাহীর চারঘাট থেকে সাকিবুর রহমান সাকিবকে গ্রেফতার করে। আনোয়ারের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় চুরি, মাদক ও মারামারির চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বলে  জানিয়েছেন পাবনা জেলা পুলিশ সুপার।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম ও ঈশ্বরদী (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি (শ্যালো মেশিনচালিত) ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনার চালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন। এসময় কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন (২৫), রকি (২৬) ও সুমনের সঙ্গে চালকের বাকবিতণ্ডা হয়।

এসময় রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে যুবলীগ সমর্থিত আনোয়ার উদ্দিন (৪০) ঘটনাস্থলে এলে মামুন, রকি, সুমনসহ ভটভটি চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে আনোয়ারের নেতৃত্বে ১১ জন ঘটনাস্থলে আসার পর মামুন, রকি, সুমনদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে রিকশাচালক মামুন হোসেন (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান এবং অপর দুইজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।