মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল চিতা বাঘের

মহাসড়ক
  © ফাইল ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছে একটি চিতা বাঘ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, প্রতি বছরই জিন্দাপীর কালু-গাজীর দরগাহে বাঘ আসে। আর প্রতি বছরই জনতার হাতে ধরা পড়ে অথবা মৃত্যবরণ করে বাঘ।

এলাকাবাসী জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঘটি বাথুলী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্তে পার হচ্ছিল। এ সময় দ্রুতগতির ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় চিতা বাঘটি মহাসড়কের ওপর পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। তখন মহাসড়কের দুপাশ থেকেই থেমে যায় সব যানবাহন। মানুষজন দ্রুত ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে রাস্তার পাশে নিয়ে সেবাযত্ন করে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঘটিকে বাঁচানো যায়নি।বাঘ হিংস্র প্রাণী হলেও তার প্রতি মানুষের মমত্ববোধের এক বিন্দুও কমতি ছিল না। এ সময় বাঘটিও মানুষের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দু’চোখের পানি ফেলছিল। আর এ দৃশ্য দেখে সবার চোখে পানি ছলছল করছিল।

মো. আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, বাঘটিকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছি। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম বনের বাঘ। আমার বুকের ধন  আমার ছেলেও কিছুদিন আগে এ মহাসড়কের শ্রীরামপুর এলাকায় দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মারা যায়। আজও আমি সেই দৃশ্য ভুলতে পারিনি। তাই আমি এলাকার মানুষের সহায়তায় ওই বাঘটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ ফজলুর রহমান সবুজ বলেন, আমরা বাবা-দাদার আমল থেকে শুনে আসছি প্রতি বছরই নাকি জিন্দাপীর কালু-গাজীর দরগাহে বাঘভক্তরা দর্শন দিতে আসে। আর প্রতি বছরই জনতার হাতে ধরা পড়ে অথবা মারা যায় এ বাঘ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাঘটি আলাউদ্দিনের সহায়তায় আমরা এলাকাবাসী বাঁচানোর সব ধরনের চেষ্টা করেও সফল হইনি। শেষ পর্যন্ত বাঘটি মারা যায়। এলাকাবাসী বাঘটি মাটিচাপা দিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ