চট্টগ্রামে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ, আহত অর্ধ্ব শতাধিক

সংঘর্ষ
  © সংগৃৃহীত

যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামেও সমাবেশ করে বিএনপি। বিদ্যুতের মূূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বের করা মিছিলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর কাজীর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। 

সংঘর্ষে ১০জন পুলিশ সদস্য ও এর প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপি কার্যালয় ও এর আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কাজীর দেউড়ি মোড়ে যখন বিএনপির সংঘর্ষ চলছিল তখন এর আধা কিলোমিটার অদূরে নেভাল মিউজিয়াম সড়কে লাঠিসোটা নিয়ে যানবাহনের ওপর চড়াও হন উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক। এ সময় তারা লাঠিসোটার আঘাতে ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে মেরে ৮ থেকে ১০টি প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। 

কাজীর দেউড়ি মোড়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এ সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নুর আহম্মদ সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি কাজীর দেউড়ি মোড়ে আসতেই সেখানে থাকা পুলিশের ওপর হামলা করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফুটপাতে থাকা ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় নেতাকর্মীরা। প্রথম দিকে পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত দশ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘কোনো উস্কানি ছাড়াই বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুনও দিয়েছে। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বাড়তি ফোর্স আনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।’

 এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


মন্তব্য