৮ জন শিক্ষার্থীর স্কুলে শিক্ষক ১ জন

সারাদেশ
তেকানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম তেকানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মোট আটজন। শিক্ষক মাত্র একজন। তাও তিনি প্রধান শিক্ষক। তিনিই পাঠদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজও চালান। অবাক হলেও দীর্ঘ চারবছর ধরে এ অবস্থা চলছে।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৭৩ সালে এক একর জমিতে বিদ্যালয়টি গড়ে উঠে। ২০১৩ সালে এটি সরকারিকরণ হয়। চলতি বছর এই বিদ্যালয়ে আটজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে শিশু শ্রেণিতে পাঁচজন, প্রথম শ্রেণিতে দুজন ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে একজন। তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীও নেই। গত বছর বিদ্যালয়টিতে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী ছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম এখানে ২০১৮ সালে যোগদান করেন। তখনও বিদ্যালয়ে ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ছিল না। গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দুরে তেকানি গ্রাম। গ্রামটি পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত। গ্রামের তিনদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা। তেকানি বিদ্যালয়ের অদুরে করতোয়া নদী বহমান। নদী পারাপার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের সামনে বিশাল মাঠ। দুদিকে শীতকালীন ফসলের মাঠ। অন্যদিকে বসতবাড়ি ও লোকালয়। ভবনের সামনে পতাকা উড়ছে। শিক্ষার্থী নেই। তাই কয়েকটি কক্ষ তালাবদ্ধ।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, শিক্ষক না থাকায় ছাত্রছাত্রী নেই। আমি এখানে যোগদানের পর ২০২০ সালে সরকার সারাদেশে শিক্ষক নিয়োগ দেয়। সেসময় শিক্ষকের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেওয়া হয়নি। কয়েকমাস আগে সারা দেশে আবারও নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবারও শিক্ষক চেয়ে আবেদন জানানো হয়।

একই বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন, এবারও শিক্ষক চেয়ে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে চলতি নিয়োগে তাদের শিক্ষক দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্তত তিনজন শিক্ষক হলেও বিদ্যালয়টি চলতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, সম্প্রতি জেলায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে আরও শিক্ষক দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ দেওয়া হবে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।