রামগড়ে শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন
- কামরুল সবুজ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৯ PM
খাগড়াছড়ির রামগড়ে দীপক ঘোষ মুন্না নামের এক দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশানটিলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত দীপক ঘোষ মুন্না (৩৮) পৌরসভার শ্মশানটিলা এলাকার রাখাল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শ্যালক সাগর ত্রিপুরা (২৫) ও তার এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সোমবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় সাগর ও তার কয়েকজন বন্ধু মুন্নাকে মারার জন্য তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এসময় মুন্না বাড়ির সামনে আসলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে মুন্নার অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা রাখাল ঘোষ তার ছেলেকে সাগর ত্রিপুরা এবং তার বন্ধুরা মিলে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলে এবং পুত্রবধূর সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিলো। দুই জন দীর্ঘদিন আলাদাও থাকছিলেন। তার পুত্রবধূ কনিকা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে চট্টগ্রামে থাকেন। কয়েকবার চেষ্টা করেও কনিকাকে বাড়িতে আনা যায়নি । এ নিয়ে সামাজিক পর্যায়ে সালিশ বৈঠকও বসে। বৈঠকে দুজনের ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। এসময় শ্যালক সাগর ত্রিপুরার সাথে মুন্নার বাকবিতণ্ডা হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে সাগর তার ছেলে মুন্নাকে হত্যা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ হত্যার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।