তেঁতুলিয়ায় চা বাগানে মাছ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার

তেঁতুলিয়া
  © মোমেন্টস ফটো

তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ঝালিংগীগছ এলাকার করতোয়া নদীর পাড়ে চা বাগানের ড্রেনে কামরুল ইসলাম (কামু) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

দেবনগড় ধানসুকা গ্রামের,মহিলা চা শ্রমিকরা  বাগানে দিকে কাজ করতে গেলে হঠাৎ দেখতে পায় একটি অজ্ঞাত মানুষের লাশ। চা বাগানের ঝোপঝাড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে মৃতদেহ।মহিলা চা শ্রমিকরা স্থানীয় চা চাষী আরিফের কাছে ডেকে বললে, আরিফ তখনই দেবনগড় ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান আলী কে জানান।  

দেবনগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান আলী বলেন, চা বাগানে মৃতদেহ এ ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো এই এলাকায় ঘটেছে বলে মনে হয় না ।এমন ঘটনা মানুষের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিক নিশ্চিত হই,পরে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিষয়টি জানায়।আমি দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।  

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় (নুরুজ্জামান,  সম্পর্কে চাচা)  গত সোমবার বিকেলে মাছ ব্যবসায়ী কামু তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান হাটে আসেন।  এবং সন্ধায় বাড়িতে সাইকেল সহ বাজার পাঠিয়ে দেয় কিন্তু বাড়িতে ফিরে নাই ।এরপর খোঁজাখুঁজি করেও কামুর সন্ধান পরিবার পায়নি পরিবার।  বাধ্যহয়ে আজ সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়।

আরও পড়ুন: মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের জনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু

পুলিশ সুত্রে  জানা যায়,  কামরুল ইসলাম কামু  তিরনইহাট  যুগিগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানায়,বুধবার সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করার জন্য তার পরিবার থানায় আসে,নিখোঁজের ডায়েরী নেওয়ার প্রায় ৩ ঘন্টার মধ্য আমরা নিখোঁজের খবর পায়,খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হই, আমরা কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। পরিবার থেকে মামলার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করেনি।আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা জানাতে পারবো।প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে আসা হয়েছে।