ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

সড়ক
  © প্রতীকী ছবি

ফেনী সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার(৩১, জানুয়ারি)  উপজেলার কসকা ও জেরকাছাড় এলাকায় পৃথক কাভার্ড ভ্যানের চাপায় তাঁরা নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাভার্ড ভ্যানের চালক মনির হোসেন (৪৫)। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুলারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে জেরকাছাড় এলাকায় নিহত শাহ আলমের (৩৫) বাড়ি তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামে। তিনিও পেশায় একটি পিকআপ ভ্যানের চালক। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের কসকা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানচালক মনির গাড়ি থেকে নেমে যান। তখন তাঁর সহকারী কাভার্ড ভ্যান নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান। মনির অন্য গাড়িতে ওঠার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামমুখী অন্য আরেকটি কাভার্ড ভ্যান তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মনিরের শ্বশুর কবির হোসেন বলেন, তাঁদের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়। কাভার্ড ভ্যান নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে গাড়িটি সহকারীকে দিয়ে তিনি তাঁর (শ্বশুর) বাড়িতে যাওয়ার জন্য কসকায় নেমেছিলেন। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করে চট্টগ্রামে গিয়ে কাভার্ড ভ্যান বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় সেটি আর সম্ভব হলো না।

মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, সিমেন্টবোঝাই কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে  উপজেলার মোহাম্মদ আলী বাজারের উত্তর পাশে জেরকাছাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি শাহ আলমের (৩৫) পিকআপ ভ্যানটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে পিকআপের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শাহ আলম গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন দ্রুত আহত পিকআপ চালককে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।

ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, অজ্ঞাতনামা ওই গাড়িটি জব্দ করা হয়নি। তবে দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপটি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।


মন্তব্য