নীলফামারীর ডোমারে বেড়েছে সরিষা’র চাষ, বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

সারাদেশ
নীলফামারীর ডোমারে বেড়েছে সরিষা’র চাষ  © টিবিএম ফটো

স্বল্প চাষ, কম খরচে সাময়িক সময়ে পরিত্যক্ত থাকা চাষের জমিতে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষকদের মধ্যে। আমন ধান কাটার পর বোরো চাষ পর্যন্ত কৃষকদের জমি প্রায় আড়াই হতে তিন মাস পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এই সময়কে কাজে লাগিয়ে উপজেলার কৃষকরা গত বছরের তুলনায় এবারে আড়াইশত হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সরিষা চাষীরা।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রীস আলী বলেন, এক বিঘা(৩৩শতাংশ) জমিতে বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ক্ষেতে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবো। 

নয়ানী গ্রামের বাবু  অনাথ চন্দ্র রায় জানান, দেড় বিঘা জমিতে বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সরিষা কেটে ফসল ঘরে তুলবো। ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করবো। একই ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম, চয়ন রায়, মধূসুধন রায় জানান, এবারে তুলনামূলক ভাবে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি। ফসল ঘরে তুলতে পারলেই লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে এক হাজার চারশত পঞ্চাশ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জনপ্রতি এক কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদুল হক বলেন গত বছর সাতশত ষাট হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জন হয়েছে। এবারে কৃষি বিভাগের প্রচার প্রচারনা ও কৃষি প্রনোদনা পাওয়ায় সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা সরিষা কাটাই মাড়াই শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবারে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ