শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমীক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৫ PM , আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৫ PM

আজ অমর একুশে। ভাষা শহিদ দিবস। আজকের এই দিনে ভাষাশহীদদের স্মরণে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আপমর জনসাধারণ। মানিকগঞ্জে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গসংগঠনের কমপক্ষে ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে জেলা শহরে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, দলীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা শ্রমিক লীগের দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বাবুল সরকার এবং অপর পক্ষে রয়েছেন আবদুল জলিল।
আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সানজিদ কাজল ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জসিম উদ্দিন।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জেলা শহরে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া হয়। এরপর জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় শ্রমিক লীগের দুইপক্ষের নেতাকর্মীরা আলাদা ব্যানারে ফুল দেওয়ার জন্য শহীদ মিনারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল জেলা শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল জলিলের নাম ঘোষণা করার পর জেলা শ্রমিক লীগের আরেক নেতা বাবুল সরকারের অনুসারীরা প্রতিবাদ করেন। এরপর শ্রমিক লীগের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বাঁশের লাঠি নিয়ে সরকারদলীয় সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন।
জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা শ্রমিক লীগ নেতা জলিলের পক্ষে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা বাবুল সরকারে পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা উপস্থিত সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রউফ সরকার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি।