সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ

সারাদেশ
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ  © টিবিএম ফটো

২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে( ৫০) শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠেছে। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পতাকা স্ট্যাণ্ডে জাতীয় পতাকা দেখা গেলেও অর্ধনমিত অবস্থায় পাওয়া যায় নি।পতাকা উত্তোলনের দৃশ্য তুলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে মন্তব্য জানতে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহিবুস সালাম খানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে হয়তো বিষয়টি সেভাবে দৃষ্টিগোচর হয় নি। বিষয়টি আমি দেখছি এবং এর সঙ্গে জড়িতকে শোকজ  করা হবে। এরপরই দেখা গেলো ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ও দুইজন স্টাফ এসে পতাকা  অর্ধনমিত করে ।

কিন্তু অর্ধনমিতর বিধান অর্থ্যাৎ পতাকার প্রস্হের সমান অর্ধনমিত না রেখে স্ট্যাণ্ডের একেবারে শেষ অংশে এনে রাখা হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকার বিধান ও অবমাননা প্রসঙ্গে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের মন্তব্য নিতে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অতীব দুঃখজনক।কেন তারা এরকমটি করবে প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি এখনই দেখছি। ২১শে ফেব্রুয়ারি  সরকারি আধাসরকারী ও সায়ত্তশাসিত  প্রতিষ্ঠানে অর্ধনমিতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধান জারি করে সরকার এর আগে পরিপত্র প্রকাশ করে। জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিক জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনভাবেই  সহ্য করা হবে না এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির অপচেষ্টা নস্যাৎ করার জন্য যা করার দরকার সেটা করব। অর্থ্যাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার  অফিস খোলা হলে এর সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।