ট্রাম্পকে হত্যার জন্য খুঁজছি, মাইক পম্পেকেও: ইরানি কমান্ডার

আইআরজিসি
আইআরজিসির সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি  © আল জাজিরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাচ্ছে ইরান। দেশটির সামরিক সংস্থা ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস এরোস্পেস ফোর্স’-এর প্রধান আমির আলি হাজিজাদে এমনটিই জানিয়েছেন। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ইরানের শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বদলা নিতে ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষা হচ্ছে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজিজাদে বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাচ্ছি আমরা।

সম্প্রতি ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। ইউক্রেনের ওপর আরও আগ্রাসী হতে রাশিয়ার সেনার হাতে ড্রোন তুলে দিয়েছে দেশটি। ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বহু সরকারি আবাসন ধ্বংস করতে সেটি ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

এরপর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের ‘কুনজর’ পড়েছে ইরান। তাই সবরকম পরিস্থিতির জন্য নিজেদের আগেভাগে প্রস্তুত রাখতে চাচ্ছে দেশটি। ফলে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে তারা। 

ইরানের সামরিক বাহিনী সেসব তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন হাজিজাদে। তিনি বলেন, ইরানের অস্ত্রাগারে ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। 

২০২০ সালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হন। প্রতিশোধ নিতে কয়েক দিন পর ইরাকে ইউএস সেনার ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এতে একাধিক মার্কিন সেনা মারা যায় বলে দাবি করা হয়।

তবে সেই সেনাদের হত্যা করার কোনও ইচ্ছা ইরানের ছিল না বলে দাবি করেছেন হাজিজাদে। তার কথায়, সোলেমানি হত্যার আসল দায় ট্রাম্পের ছিল। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চাই। তাদের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেকেও হত্যার চেষ্টা থাকবে। যে সামরিক কমান্ডাররা সোলেমানিকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন, তাদের হত্যা করা উচিত।

এর আগেও সোলেমানির মৃত্যুর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রতিশোধ নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়েই দেশের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করেছে তারা। তবে ইরানি সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষার স্বার্থে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করা হয়েছে।


মন্তব্য