গোলাপগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারে জালালাবাদ গ্যাস অফিস কর্মকর্তা জুবেরের অপকর্ম

সারাদেশ
গোলাপগঞ্জ  © টিবিএম ফটো

সিলেট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড গোলাপগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা জুবের আহমদ ও তার চাচা আব্দুল লতিফ ক্ষমতার অপব্যবহারে  ভূমিদস্যু ১০/১২ টি পরিবারের সাথে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। 

ঘটনাসূত্রে জানা যায়,জুবের আহমদ  গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের কোতোয়ালপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মছব্বিরের ছেলে।সে সিলেট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড গোলাপগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে সুদীর্ঘ ২৪বছর (দুই যুগ) থেকে চাকুরি করে আসছে।সেই সুযোগে এলাকায় তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ১০/১২টি পরিবারের সাথে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।সে একই গ্রামের নুর হোসেন খান,জাকির হোসেন খান,আব্দুল আহাদ খান,শিহাবুল ইসলাম খান,ফরিক উদ্দিন খান,আমিরুল ইসলাম খান,রাজু খানসহ ১০/১২টি পরিবারের সরকারি আদেশ থাকা সত্ত্বেও জালালাবাদ গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতার প্রভাবে দীর্ঘ ২০ বছর থেকে গ্যাস সংযোগে আপত্তি দিয়ে রাখছে। অথচ বাকী সকল গ্রামবাসী জালালাবাদ গ্যাস ব্যবহার করছেন।সেও জালালাবাদ গ্যাস অফিসে চাকুরি করায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে রেকর্ডভুক্ত রাস্তা রেখে তার বাড়িতে  বনজঙ্গলের ভিতর দিয়ে নিজ ঘরের গ্যাস সংযোগ করেছে।এদিকে কোন রাস্তা নেই কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের লোক বা কোন গাড়ি কর্মীরা এবং জনসাধারণ দূর্ঘটনা মুকাবেলা করতে পারবেনা।এই কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা গ্যাস অফিসে ফি দিয়ে অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও সরকারি রেকর্ডের ৫৩৩নং দাগের রাস্তা দিয়ে গ্যাস ব্যবহার থেকে বঞ্চিত।

এদিকে মামলা সূত্র ও সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সরকারি রেকর্ডভুক্ত রাস্তা মৌজার ম্যাপে প্রায় ১৩ফুটের মতো প্রস্থ ৪৭৮ ফুট লম্বা, কিন্তু রাস্তা সরকারি রেকর্ড ম্যাপ মোতাবেক  ১৩ফুট নেই।রাস্তার জায়গা বিবাদী আব্দুল লতিফ,আব্দুল মছববির,পিতা সইদ আলী,জুবের আহমদগং গায়ের জুরে দখল করে রেখেছে,রাস্তার পাশে রড এবং বাঁশের পাতা সহ গাছ গাছালি লাগিয়ে রেখেছে। বিগত আদালতের রায় রাস্তা অপসারণ হয় কিন্তু বিপক্ষগন প্রশাসনের কাছে বলে রাখে যে একটি পাকা ঘরের অংশ ৩টি বড় গাছসহ  রাস্তা প্রতিবন্ধকতা বাকি অংশ ৩দিনের মধ্যে তারা নিজ দায়িত্বে অপসারন করবে বলে অপসারণে নিয়োজিত শান্তি শৃঙ্খলা বাহিনী  গোলাপগঞ্জ থানা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সময় নেয়। গোলাপগঞ্জ নিয়োজিত নিয়জিত তশিলদার অপসারণে নিয়োজিত ছিলেন কিন্তু ৩ দিনের সুযোগে সে অপসারণ না করে রিভিশন মামলা দায়ের করে। ৫বছর অতিবাহিত হলেও বাকি অংশ অপসারণ করে নাই এবং গত ২৫শে জানুয়ারি,২০২৩ ইং(বোধবার) আদালত রিভিশন মামলা সাক্ষী নিয়ে রিভিশন মামলা খারিজ করেন পুনরায় রাস্তার পক্ষে আদেশ দেন এবং গনঅধিকার বিষয়ে তুলে ধরেন আদালত।রাস্তা চলাচলকারী ১০/১২ টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র  রাস্তা যা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম বেয়াগাত হচ্ছে। রিভিশন মামলা খারিজ করে আদালত থেকে আদেশ হয়,যে আব্দুল লতিফগন দ্বিতীয় পক্ষ বিগত আদালত রায়ের রাস্তা অপসারণ বাকি অংশ অস্তিত্ব অপসারণ করে জনসাধারণ চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে শান্তি সিংখলা বজায় এবং চেয়ারম্যান ৪নং লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে সামাজিক সাম্প্রতিক বাজায় রাখার জন্য আদেশ দেন।পরে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরজমিন গিয়ে দেখে আসেন এবং উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেন এবং দ্বিতীয় পক্ষকে আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান রাখতে, রাস্তা জনসাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে রাখতে বলেন।পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই আহমদ হোসেন ২৫শে জানুয়ারি,২০২৩ইং (বুধবার)তারিখ আদালতের আদেশ কপি ও দ্বিতীয় পক্ষে রাস্তা বাকী অংশ অপসারণ করার নোটিশ এবং উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ দিয়ে আসেন। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষ আব্দুল লতিফ,জুবের আহমদ আদালতের আদেশ তওয়াক্কা করেননি তাই প্রথম পক্ষ আপোষহীনভাবে দ্বিতীয় পক্ষ কে অনুরোধ করে বলেন,আমরা আদালতের রায় কে সম্মান করে সবাই উন্মুক্তভাবে চলাফেরা করতে উভয়পক্ষ একমত হয়ে রাস্তা অপসারণ বাকি অংশগুলো অপসারণ করে উভয়পক্ষ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলি।বিপক্ষ জুবের আহমদ,আব্দুল লতিফ চরাও হয়ে প্রথম পক্ষ নুর হোসেন খান আজাদ ও রাস্তা চলাচলকারী বাকি অংশীদার কে গালাগালি হুমকি ধামকি এবং আদালতে রায় মানিনা, পুলিশ থানা আমরা কিনতে পারি এরকম কথাবার্তা বলেন।জুবের আহমদ সিলেট জালালাবাদ গ্যাস অফিসের অধীনে, গোলাপগঞ্জ আঞ্চলিক গ্যাস অফিসে চাকরির ক্ষমতায় বলেন, আমাকে পুলিশ কিছু করতে পারবেনা বলে মারমুখী আচরণ করে,তখন নূর হোসেন খাঁন ও রাস্তা চলাচল কারী বাকি অংশীদার দেখেন যে  সে তাঁহাদের উপর হামলা করবে তখন তারা নিজ ঘরে ফিরে আসেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে।

স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুককারী একজন জানান, নুর হোসেন খান আজাদগং তাহারা এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ তারা আইনকে সম্মান করেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলেন।নুর হোসেন খান আজাদগংদের পূর্ব পুরুষদের দেওয়া জায়গা যা পূর্ব আইনে বলে যৌথ সূত্রে বাড়ি দিয়েছিলেন  বিবাদী আব্দুল লতিফগংদের পূর্ব উত্তরাধিকারীদের। রাস্তার প্রথম অংশে আব্দুল মছববির,আব্দুল লতিফ,জুবের আহমদ মালিকানা হিসেবে বসবাস করছেন এবং তাদের বাড়ি রাস্তা প্রথম অংশে বাকি ১০/১২ পরিবারের ঘর ভিতরে থাকার সুবাদে তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করে যাচ্ছে।রাস্তাটি বহুকাল থেকে বিদ্যমান আছে ৫৩৩ নং দাগে রেকর্ড এবং সরাসরি এলজিইডি রাস্তার সাথে সম্পৃক্ত।

এ বিষয়ে প্রতিবেদক সরজমিনে অনুসন্ধান ও সত্যতা যাচাই করতে গেলে আব্দুল মছব্বির,আব্দুল লতিফ ও জুবের আহমদ প্রতিবেদকের সাথে  খারাপ আচরণ করে বলেন, “এ ব্যাপারে কোন প্রতিবেদন করবেন না এটা আমাদের বিষয় আমরা বুঝে নিবো, কোর্টের রায় নিয়ে এসে থানা পুলিশ কিছু করতে পারে নাই আর আপনি নিউজ করে কি করবেন,আপনারা কোন নিউজ করলে আপনাদের ক্ষতি হয়ে যাবে” বলে অনেক হুমকি ধামকি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ প্রতিবেদককে ফোন আলাপে জানান, এরকম অপকর্মে আমাদের কর্মকর্তা জড়িত থাকলে আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে জনগণের সাথে এরকম আচরণ খুব মারাত্মক অপরাধ। এরকম অপকর্মে আমাদের কর্মকর্তা জুবের আহমদ লিপ্ত থাকলে ও আমরা অভিযোগ পেলে অবশ্যই সঠিক তদন্তের সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জালালাবাদ গ্যাস ফিল্ডসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা  করছেন গ্রামের সচেতন নাগরিকবৃন্দ।


মন্তব্য