বিএনপিকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে উখিয়ায় কবর রচনা করতে হবে

কক্সবাজার
মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান নিখিল  © মোমেন্টস ফটো

কক্সবাজার জেলায় কোন জঙ্গিদের জায়গা হবেনা। বিএনপি-জামাতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে উখিয়ায় কবর রচনা করতে হবে যুবলীগের। উখিয়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন করে যুবলীগের কর্মী সৃষ্টি করতে হবে আপনাদের। বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী সকল কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে যুবলীগের।

রোববার (১২ মার্চ) উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান নিখিল।

তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশের চাইতে কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথিবীর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন রেললাইন পেতে যাচ্ছে কক্সবাজারবাসী। এরই ধারায় বাংলাদেশের সকল প্রান্তে শেখ হাসিনার ছোয়ায় সিঙ্গাপুরে পরিণত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ৩৫ লক্ষ গৃহিণীকে ঘর করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। যে মানুষটি নারী জাতি মা-বোন দের মাথা উচু করে দাড়ানোর সাহস দিয়েছেন সেই মমতাময়ী শেখ হাসিনার জন্য আমি দোয়া চাইতে এসেছি উখিয়াতে।

উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদের সভাপতিত্বে ও উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু কখনো ভোগের রাজনীতি করেন নি, সবসময় ত্যাগের রাজনীতি করেছেন তিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুর মত নেতা হারিয়েছি। কারন তিনি জীবিত থাকলে বাংলাদেশ আরো অনেক আগে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করতো।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে সম্মান জনক জায়গা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান। সেই কাজ গুলোই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন। সেই কাজ গুলো করতে গিয়ে ১৮ বার তার উপর হামলা হয়েছে। তবু তিনি পিছপা হন নি। যুবলীগের দায়িত্ব হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমুলক কাজগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া।

উক্ত সম্মেলনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইশতিয়াক আহমেদ জয়, গিয়াসউদ্দিন আজম, উখিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চেয়ারম্যানসহ উপজেলা ও জেলা আ.লীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উক্ত সম্মেলনে উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী সকল কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে প্রস্তুত। আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করবে যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

সম্মেলন শেষে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। যেখানে সভাপতি পদে ৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন প্রার্থী হন। 

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুরের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমঝোতায় না আসায় এবং একাধিক প্রার্থী থাকায় কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষনা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিল অধিবেশনে প্রার্থীদের সমঝোতায় আসতে ৪ সভাপতি প্রার্থীকে সময় দেওয়া হয়। সময় দেওয়ার পরও সমঝোতায় না আসলে কমিটি দেয়া সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলরদের তালিকা নিয়ে আপত্তি থাকায় এ কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে উখিয়া যুবলীগের একটি সূত্র।

সবশেষে কক্সবাজারের বাকী উপজেলায় শেষ হওয়া সম্মেলনের মতই কমিটি ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ উখিয়া উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল শেষ হয়েছে৷

উল্লেখ্য, দীর্ঘ নয় বছর পর উখিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনে যুবলীগের সভাপতি পদে ৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন যুবলীগ নেতা সম্মেলনের কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দীতা করার জন্য নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে শুরু করে উপজেলার মহাসড়ক ও বিভিন্ন চোখে পড়ার স্থানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ভরে গিয়েছিল উখিয়া। ৯ বছর পর সম্মেলন হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব ফিরে এসেছিল।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ