সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মানবিক সাহায্যের আবেদন মাগুরার রনজিতের 

মাগুরা
সাহায্যপ্রার্থী রনজিত কুমার ঘোষ  © টিবিএম ফটো

মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানার জগদল ইউনিয়ন এর শেওলাডাঙ্গা গ্রামের অধিবাসী রনজিত কুমার ঘোষ (উত্তম), মৃত ডা : তরুণ ঘোষের ছেলে।

২০১৪ সালে ট্রাকের সাথে তার নিজের মোটরসাইকেল  ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে সে প্রায় পঙ্গুত্ব বরণ করে শরীরের বেশিরভাগ হাড় ভেঙে যায়। মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। বুকে আঘাত প্রাপ্ত হয়। গায়ের মাংসপেশি উঠে যায়। তারপর সে বাংলাদেশে তার বাবার রেখে যাওয়া, সকল সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে প্রথমে বাংলাদেশের অ্যাপোলো হসপিটাল, ইবনে-সিনা হসপিটাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাংলাদেশের স্বনামধন্য সকল চিকিৎসালয় হতে চিকিৎসা করেও  সুস্থ  হতে পারি নি।

উল্লেখ্য, রনজিত ঘোষ উত্তম মাগুরা সরকারি হতে ২০০২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসি পাশের পর তার বাবা মারা যান। তারপর রনজিত ঘোষ উত্তমের শুরু হয় জীবনের সাথে যুদ্ধ। সে সারাদিন টিউশনি করিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি, ব্যাচেলর অব সায়েন্স মাস্টার্স অফ সাইন্স শেষ করে ২০১২ সালে। এরপর বেক্সিমকো গ্রুপে চাকুরী শুরু করেন। তার ছোট বোনকে এমবিএ পড়ানোর পর নিয়তির নির্মম পরিহাসে সে বর্তমানে ব্লাড ক্যান্সারের স্টেজ ওয়ান থাইরোডে আক্রান্ত।

রনজিত ঘোষ উত্তম ও তার বোন নিষ্কৃতি রানী ঘোষ চরম অসুস্থতার শোক ও তাদের বাবা হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরে তার মা হাসি রানী ঘোষ মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। রনজিত ঘোষ উত্তম তার বাবার রেখে যাওয়া সকল সম্পদ ও জগদল বাজারে একমাত্র ওষুধ ফার্মেসি দোকানসহ জায়গা বিক্রি করে দিয়ে কলকাতার পিয়ারলেস হসপিটাল, অ্যাপোলো হসপিটাল, নারায়ণা হসপিটাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, কলকাতা এস এস কে এম হসপিটাল, কলকাতা পিজি হসপিটাল সহ বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসা খরচ মেটাতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে। বর্তমানে রনজিত কুমার ঘোষ উত্তম মাগুরার সদর থানার চাউলে ইউনিয়নের শ্রী কুন্ডি গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দেয়া আশ্রায়ন গুচ্ছগ্রাম শ্রীকুন্ডি গ্রামে বসবাস করছেন। তার দুইটি ছোট ছেলে রয়েছে। তার সবচেয়ে ছোট ছেলেটি বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের আর্টারিতে ব্লকেজ মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন জনিত বুকে ব্যথ, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, লাঞ্চ ডিজিজ সিওপিডি, মাথার মাইগ্রেন ব্যথা, হাটুর হাড়ের গঠনের মধ্যে ইনফেকশন, ওষুধ এর ইন্টারেকশন পুরো শরীর সাদা বা শ্বেতাঙ্গসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।

রঞ্জিত ঘোষ উত্তমের শরীরে ওষুধ ঠিকমত কাজ করতে পারছেনা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অতি দ্রুত ভারতের ভেলোর বা সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। এতে কমপক্ষে আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।

এত টাকা জোগাড় করা সহায় সম্বল হারা রঞ্জিতের পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। তাই তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য সমাজের বিত্তবান, প্রবাসী ভাই-বোন, জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সর্বোপরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহায়তা চেয়েছেন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ