সৌদিতে নিহত কক্সবাজারের ৩ প্রবাসীর ঘরে শোকের মাতম

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আসিফ মোহাম্মদ আফনানকে হারিয়ে বাকরূদ্ধ বাবা আহমদ উল্লাহ। সন্তান হারানোর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। ২ বছর ৩ মাস আগে জীবিকার তাগিদে সৌদি পাড়ি জমান আসিফ। অনেকটা ধার দেনা করেই জীবনের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই আসিফের চেষ্টা ছিল প্রবল।
বলছিলাম সৌদি আরবে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত আসিফের পরিবারের কথা।

বুধবার দুপুরে সাংবাদিকরা নিহত আসিফের বাবার সাথে কথা বলে। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান, আমার ছেলে হোটেলে কাজ করে। গেল সপ্তাহে রোজা উপলক্ষে টাকাও পাঠিয়েছিল সে। এখন আমার ছেলে নেই।

এদিকে সরকারি ভাবে মরদেহ দেশে আনার দাবি নিহত পরিবারের। নিহতের এক স্বজন জানান, মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর দেশে আনার প্রক্রিয়াটি যাতে তাড়াতাড়ি হয় সে চেস্টা করার জন্য সরকারে প্রতি অনুরোধ তাদের।

এদিকে নিহত বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি সহযোগিতা কথা জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইয়াছিন
 জানান, গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি এখনও। তবে, দুই দেশের মধ্যে আলাপ আলোচনা শেষে কিভাবে মরদেহ দেশে আনা যায় তা করবে সরকার।

সৌদিতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩ জনই কক্সবাজারের। তাদের মধ্যে আসিফ মোহাম্মদ আফনান এবং মো: শেফায়েত উল্লাহর বাড়ি বড় মহেশখালী ইউনিয়নে। অপরজন রামু উপজেলার মো: হোসেন। নিহত আসিফের পরিবারকে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেন।