দুমকিতে আগুনে পুড়ে বসতঘর ছাই, খোলা আকাশের নিচে ৫ পরিবার
- মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালীঃ
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:১৪ PM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:১৪ PM

পটুয়াখালীর দুমকিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। বসতঘর পুড়ে যাওয়া এসব পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।
মঙ্লবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চরবয়েড়া গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস সরকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে তেমন কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে।
প্রত্যদর্শী ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ কালাম সরকার বাংলাদেশ মোমেন্টসকে জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমি কাজ থেকে ফিরে এসে উঠানে দাড়ালে দেখি মোসলেম সরকারের রান্না ঘরের ছাউনিতে আগুন। কিছু বুঝে উঠার আগ মুহূর্তেই মোসলেম সরকারের ঘরের বাম পাশের সেমি পাকা ইউনুস সরকারের ঘর, ডান পাশে আমার ঘর, আমার ঘরের বাম পাশের মনির সরকারের ঘরসহ মোট চারটি ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং জামাল সরকারের ঘর পর্যন্ত আগুন পৌছে গেলে ওই ঘর ভেঙে বাকি ৮টি ঘরকে আগুন থেকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়।
প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত মোসলেম সরকার জানান, আমি পরিবারসহ দীর্ঘ ৮ মাস ঢাকায় থাকি। খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে আসলাম। ঘরে তালাচাবি মারা ছিল এবং কারেন্টের মেইন সুইচ আমি নিজ হাতে বন্ধ করে রেখে গেছি। কীভাবে যে আমার ঘরের পেছনে আগুন লাগলো তা বুঝলাম না।
অচিরেই ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম সালাম বলেন, বরিশাল থেকে সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। স্থানীয় হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফায়ারসার্ভিসের সাথে যৌথভাবে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আমি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সমাজের বিত্তশালীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বলেন, আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘন্টারও অধিক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত খুঁজে পাই নি।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা কোটি টাকার ওপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করলেও ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।