ফটিকছড়ির প্রবাসী খুনের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও অন্যান্য আসামী আটক না হওয়ায় পরিবারের ক্ষোভ
- ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৪৭ PM , আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৪৭ PM

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা বালুটিলার আলোচিত প্রবাসী মাসুদুল আলম হত্যা পর আসামী শামীম ও দেলোয়ারকে স্থায়ীরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও ফটিকছড়ির প্রবাসী খুনের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও অন্যান্য আসামী আটক না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।
ঘটনার পর পর নিহতের ভাই মাহফুজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে আটককৃত শামীম ও দেলোয়ারসহ ৬ জনকে আসামী করে ভূজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও আমামী করা হয় দাঁতমারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আক্তার, মো. আনোয়ার, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. রফিকে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নিহতের ভাই ভাই মাহফুজুর রহমান বাবু। তিনি বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে যে ভাবে আইনী সহায়তা পাওয়ার দরকা ছিল। এটি একটি হত্যাকান্ড মারামারির মামলা সেভাবে আসলে আমরা ভুজপুর থানা থেকে পায়নি। যে আক্তারের নির্দেশে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। সে খুনি আক্তারের সাথে ওসি ভুজপুরের হ্নদতার সম্পর্ক।
মাহফুজুর রহমান বাবু আরও বলেন, আমার ভাই হত্যার এখনো পর্যন্ত বাকী আসামীদের ধরা হয়নি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আসামীদের লোকেশন পর্যন্ত দিয়েছি। আপনারা আসেন আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। আসামীগুলোকে আটক করেন। ওনারা (পুলিশ) বলছেন আসবেন আমরা পুরোরাত অপেক্ষা করি। কিন্ত তারা আসেন না। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি আসামীদেরকে আটক করে আইনের আওতায় যেন আনা হয়। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। যারা আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে অল্প বয়সে বিধবা করেছে। যারা আমরা ভাইয়ের ছোট ছোট দুই সন্তানদেরকে অভিভাবক হারা করেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিজ থেকে কোন আসামী আটক করেনি। যে দুইজন আসামীকে আটক করা হয়েছে তাদেরকেও স্থানীয়না ঘটনার পর পর আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এসময় নিহতের স্ত্রী আঁখি নুর বলেন, 'আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। যারা আমাকে অল্প বয়সে বিধবা করেছে এবং আমার সন্তানদেরকে বাবা হারা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।'
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার স্বামী হত্যার সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের বিচারের দাবী জানিয়ে বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি একজন নারী আমিও একজন নারী তাই আপনি আমার দুঃখটা বুঝবেন।'
এসময় নিহত মাসুদুর রহমানের মা নুর আক্তার বানু, মাকসুদুর রহমান, ডা. মনির হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভুজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, 'এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছি। বাকি আসামীদেরকে আটকের জন্য প্রচেষ্টা চলছে। '
এর আগে, ২৫ মার্চ রাতে নিজেদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল। তারাবির নামাজ শেষ করে বের হলে কথা কাটাকাটিতে জড়ায় তারা। এক পর্যায়ে প্রবাসী মাসুদকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। পরে মাসুদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা আক্তারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।