যশোরে দিনমজুর হত্যা মামলায় মা ও ছেলে আটক

যশোর
  © মোমেন্টস ফটো

যশোর সদরের বসুন্দিয়ায় গুরতর যখম দিনমজুর আনারুল ইসলাম মারা গেছেন। গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আনারুল ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মারা যান। এঘটনায় দায়ের করা অভিযোগ টি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়েছে।

এ মামলার মূল আসামি রনি হোসেন কে রোববার রাতে অভয়নগর উপজেলার বাগদাহ গ্রাম থেকে এবং তার মা পারভীন খাতুনকে যশোর সদরের বসুন্দিয়া বানিয়াগাঁতী থেকে আটকের পর সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

আটক রনি হোসেন যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার বানিয়ারগাতি গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাগদিরাইট গ্রামের লুৎফর রহমান মিয়ার ছেলে সোহেল রানা মামলার বাদী বলেছেন, তার ছোট ভাই দিনমজুর আনারুল ইসলাম বানিয়ারগাতি গ্রামের জুয়েল রানার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ১৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের দোকানে যাচ্ছিলেন দিনমজুরের টাকা আনতে। আনারুল পথিমধ্যে রনি হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছানোর পর তার কাছে থাকা টর্চ লাইটের আলো রনির চোখে লাগে। এসময় রনি তাকে গালিগালাজ করে। নিষেধ করায় ক্ষীপ্ত হয়ে পাশেই বাড়ি থেকে তার মা পারভীন ও বোন রানী বেগম দা নিয়ে রাস্তায় আসে।

এসময় তার মায়ের হুকুমে আনারুলের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে। আনারুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এরপর আরো অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ ও সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় ভাই সোহেল রানা, রনি তার মা পারভীন খাতুন ও বোন রানী বেগমের নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মৃত্যুর পর রোববার রাতেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে রনিকে অভয়নগরের বাগদাহ গ্রামে শ্বশুর বাড়ি এবং তার মা পারভীন খাতুনকে বানিয়ারগাতি নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।

এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন, রাতের বেলা চোখে টর্চ লাইটের আলো লাগলে ক্ষীপ্ত হয়ে আনারুলকে খুন করেছে রনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, সোমবার আনারুলকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে রনি।অপর আসামিকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি শেষে রনি ও তার মাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।


মন্তব্য