কোটি টাকার পদবাণিজ্যের সত্যতা মেলায় বরগুনা জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

বরগুনা
  © প্রতীকী ছবি

গেল কয়েকমাস আগে বরগুনায় জেলা বিএনপির পদ বানিজ্যের বিষয়টি উঠে আসলে তা তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় অবশেষে বিএনপির বরগুনা জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

(১৮ এপ্রিল) সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

জেলার আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ জেলা বিএনপির অন্যতম চার নেতার বিরুদ্ধে  ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চেকের কপি, বিকাশে লেনদেন ও হাইকমান্ডকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের বেশকিছু ফোনালাপের অডিও ক্লিপ এবং সঙ্গে আরও কিছু অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে  যুগান্তর অনুসন্ধান করে। 

অভিযোগটির সত্যতা খুজঁতে যুগান্তর পত্রিকা অনুসন্ধান করে,এবং সত্যতা পায়। সংবাদ প্রকাশের দুই দিন পর কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে বিএনপি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটিতে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।

 অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পায়। তদন্ত রিপোর্ট দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জমা দেওয়ার পর তা স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপন করা হয়। 
সেখানে কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বরগুনার বিএনপির পরের কমিটি নিয়ে জানা যায়,শিগগিরই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। সভাপতি বা আহ্বায়ক হিসাবে জেলার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম ছগির মজনু এবং সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব হিসাবে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক দুবারের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হুমায়ুন হাসান শাহীনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে জরিত এবং পরিক্ষিত। গত আহবায়ক কমিটিতেও তাদের সম্মান জনক স্থানে না রেখে প্রথমেই কমিটি টি তুমুল বিতর্কের মুখোমুখি হয়। 

সব শেষ তথ্যমতে, এমরান সালেহ প্রিন্স সাক্ষরিত কেন্দ্রীয় বিএনপির প্যাডে বলা হয়, অতি সত্ত্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।