কক্সবাজার সৈকতে ভাসছে বিশাল মৃত তিমি

কক্সবাজার সৈকতে ভাসছে বড় আকারের একটি মৃত তিমি। সৈকতের হিমছড়ি থেকে দরিয়ানগর পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকার অন্তত এক কিলোমিটার দূরের সাগরে ভাসছে মৃত তিমিটি। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামু উপজেলার সৈকতের হিমছড়ি থেকে দরিয়ানগর পয়েন্ট পর্যন্ত সাগরে মৃত তিমিটি ভাসতে দেখা গেছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, ভাসমান মৃত তিমিটি দৈর্ঘ্যে অন্তত ৫০ ফুট। এটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিমিটি অন্তত সপ্তাহখানেক আগে সাগরে মৃত্যু হয়েছে। 

গেল বছরের ৯ এবং ১০ এপ্রিল একই স্থানে এক জোড়া তিমির মরদেহ ভেসে এসেছিল বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের বিচকর্মি মাহবুবুল আলম।

বিচ কর্মীরা জানান, স্পিডবোট যোগে সাগরে তিমিটির ভাসমানস্থলে গিয়ে তারা এটির ছবি ধারণ করেন। রাতের জোয়ারে হয়তোবা এটি চরে উঠে আসতে পারে। 

বিচ কর্মীরা আরো জানান, এটি পঁচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তিমিটির শরীরে মাছ ধরার জাল প্যাঁচানো অবস্থায় দেখা গেছে। তাই মনে করা হচ্ছে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে প্রাণিটির মৃত্যু হতে পারে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ আরো জানান, বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিমিটি সাগরের পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। এটি জোয়ার-ভাটায় ভেসে না এলে কূলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বুরি) মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মোহাম্মদ বেলাল হায়দর জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার সকালে সাগরে মৃত তিমিটি ভাসার খবর পেয়ে বুরির একটি দল ড্রোনের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করে। পরে ছবিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- মৃত তিমিটি 'ব্রাইডস' প্রজাতির। 

তিনি জানান, তিমিটির শরীর মাছ ধরার জাল প্যাঁচানো অবস্থায় রয়েছে। তিমিটি পচে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মাথায় আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে।

বেলাল হায়দর আরো জানান, তিমিটি জোয়ার-ভাটার কারণে প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করছে। এটি কূলে ভেসে এলে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।