ঈশ্বরদী স্টেশন প্লাটফর্মে শতবছরেও লাগানো হয়নি ফ্যান, সংকট পানি ও শৌচাগারের 

ট্রেন
  © টিবিএম ফটো

দেশের অন্যতম রেলওয়ে জংশন স্টেশন ঈশ্বরদী। শত বছরের পুরনো এই রেল স্টেশনে  আধুনিকায়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি শতবর্ষী এ স্টেশনের চারটি প্লাটফর্মের কোনোটিতেই নেই বৈদ্যুতিক ফ্যান। টানা রোদ আর গরমে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্লাটফর্মের টিউবওয়েল নষ্ট রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত, বাথরুমের নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।

প্রতিদিন এ স্টেশনে যাত্রীবাহী ৩২ টি ট্রেন চলাচল করে।  আসা-যাওয়া করে হাজার হাজার যাত্রী। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শতবছরেও এ স্টেশনের প্লাটফর্মে ফ্যানের ব্যবস্থা না করাই হতাশ ও ক্ষুব্দ যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে,  ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন  স্টেশনে মোট চারটি প্লাটফর্ম রয়েছে। তবে ওয়াশরুম রয়েছে মাত্র একটিতে। একটি টিউবওয়েল থাকলেও সেটি নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা।

ঈদে বাড়তি যাত্রী চাপে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের ফ্যান ছাড়া প্লাটফর্মে বসে থাকা যেন এক দুঃসহ যন্ত্রনার নাম।

ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন রুবেল ইসলাম। তিনি বলেন, ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘন্টা বিলম্বে আসছে।  বাধ্য হয়ে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যেও বসে আছি।  ভাবতে অবাক লাগে বৃহৎ এ স্টেশনের প্লাটফর্মে ফ্যান নেই। বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা ও মানসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই।

ঈশ্বরদী যুক্তিতলা এলাকার বাসিন্দা মোঃ রনি বলেন, প্রায় আধাঘন্টা যাবত প্লাটফর্মে বসে আছি ট্রেনের অপেক্ষায়। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। শতবর্ষী এ প্লাটফর্মে এখনও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ এ যাবতকাল স্টেশনের কোন উন্নয়ন করেনি। নানা সমস্যায় জর্জরিত একটি স্টেশন ঈশ্বরদী।

জানতে চাইলে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট(এস এস) মহিবুল ইসলাম বলেন,  ফ্যান, বাথরুম ও খাওয়ার পানি সমস্যার বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা। আমার উর্ধ্বতন স্যারেরা রয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমার এ বিষয়ে কথা বলার কোন অনুমতি নেই। 

পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল রুম্পা বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক স্যার সহ রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্লাটফর্মের ফ্যান না থাকার বিষয়টি জানেন। স্টেশন প্লাটফর্মে ফ্যান লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।বাজেট বরাদ্দ এলেই ফ্যান লাগানো হবে। 

পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী(ডিএন-২) বীরবল মন্ডল জানান, একটি শৌচাগার মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। আশা করি ঈদের পরই অন্যান্য সমস্যাগুলি সমাধান হয়ে যাবে


মন্তব্য