চা বাগানের সন্তান রুপম তাঁতীর লেখা উড়িষ্যা ভজন গান রেকর্ড হল উড়িষ্যা রাজ্যে 

মৌলভীবাজার
  © টিবিএম ফটো

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা ৮ নং কালিঘাট ইউনিয়নের লাখাই ছড়া চা বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান রূপম তাঁতী, ৭ম শ্রেণি থেকে নিজে নিজে গান লেখার চর্চা করে আসছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮ নং কালিঘাট ইউনিয়নের লাখাইছড়া চা বাগানের বাংলা ও উড়িষ্যা গানের তরুন গীতিকার রুপম তাঁতী। 

অনেক দিন থেকে গান লিখে যাছে এই রুপম তাঁতী, কিন্তু বাংলাদেশে তার লেখা গান কোনো স্টুডিও তে রেকর্ডের কোনো মাধ্যম পাইনি। অনেকবার অনেকের সাথে গানের বিষয় আলাপ করেও কোনো ফলাফল পাইনি সে।

অনেকে জানান গান রেকর্ড হবে তবে অনেক টাকা লাগবে। রুপম তাঁতী টাকার কোনো  ব্যবস্তা না করতে পারায় তার লেখা গান গুলো ডাইরিতে লেখা অবস্থা থেকে রয়ে গেলো। অবশেষে সোশাল মিডিয়ায় মাধ্যমে উড়িষ্যার বিভিন্ন লেখকদের সাথে তার যোগাযোগ হয়। এছাড়াও সে কটক এর সুনামধন্য কন্ঠ শিল্পী হুমান সাগর ও মন্টু ছুরিয়ার একজন ভক্ত । তাদের সাথে প্রায় যোগাযোগ করে হুয়াট্স আপ এর মাধ্যমে কথা বলে থাকে। অবশেষে সবার সহযোগিতায় কথা হয় গীতিকার, সুরকার ও পরিচালক শ্রীজিত দাস (উড়িষ্যা) এর সাথে,

তিনি রুপম কে আশ্বাস দেন আমি তোমার লেখা গান রেকর্ডের কাজ সম্পন্ন করে দেবো। তোমার মত প্রতিভাবান শিল্পী বাংলাদেশে আছে জেনে আমরা আজ খুবই আনন্দিত, অবাক ও খুশি। তাই আমি তোমার গান রেকর্ড করবো। এ কথার ভিত্তিতে শ্রীজিত দাস এর মিউজিক ও রেনু রঞ্জন বাগ এর এরেন্জে রুপমের লেখা" কল্লা ঠাকুরো " উড়িষ্যা জগন্নাথ ভজন গানটি সাহাসুরেন্সু হট্ট এর কন্ঠে রেকর্ডের কাজ এসএম স্টুডিও ডুংগুরিপালিতে সম্পন্ন হয়েছে গানটির ক্যামেরা ও ভিডিও এডিটর হলেন নিতেস কুমার সুভ্রসায় স্টুডিও এবং গানটি পুষ্পাঞ্জলি youtube চ্যানেলে রিলিজ হয়েছে এই গানের প্রোডাকশন হলেন হট্ট প্রডাকশন কন্টাবাজি,উড়িষ্যা, ভারত । 

একজন তরুণ নতুন গীতিকার হিসেবে রুপম তাঁতী বলেন আমি কখনো ভাবিনি আমার লেখা গান উড়িষ্যা দেশে পাঠাতে পারবো এবং সেখানে রেকর্ডের সুযোগ পাবো। আমি আজ খুবই আনন্দিত ও খুশি যে আমি আমার নিজ ভাষার ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের জন্ম মাটিতে গানটি রেকর্ডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। । আমার গানের রেকর্ডের পেছনে যাদের অবদান রয়েছে বিশেষ করে শ্রীজিত দাস ভাইকে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি। আমি যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি। আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশে যদি এ রকম সুযোগ পাই তা হলে গান লেখাটা আর থামাবো না। অবিরাম থাকবে আমার গান লেখা। এ রকম অনেকে আছেন যারা সংগীতের সঙ্গে যুক্ত আছেন আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে আমি আর একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো।