১১ মে ২০২৩, ০৯:৩৯

গলাচিপায় ইউএনও'র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

ইউএনও'র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ  © টিবিএম ফটো

পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  (ইউএনও) হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার গোলগালী  ইউনিয়নের বড় গাবুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বর ও কনের অভিভাবকদের মোট ৩২ (বত্রিশ) হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে উপজেলার গোলখালী  ইউনিয়নের একটি বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনের বয়স ১৪ বছর। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে এজটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার শ্রেণি রোল নম্বর ৭। পাত্র পাশের আমতলী উপজেলার বাসিন্দা। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই কনের বাড়িতে রান্নাবান্না চলছিল। বিয়ের আয়োজনের অংশ শামিয়ানা টাঙানো হয়। উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছিলো বাড়িতে। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, গোলখালী  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাল্য বিবাহ নিয়ে কাজ করে সুশীলন এনজিও প্রতিনধি, পুলিশ ও আনসার নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন। ইউএনও এর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জাল জন্মনিবন্ধন দেখিয়ে বিয়ের সব প্রস্তুতি নেয়া হয় । 

পরে বর ও কনের পিতাকে  বাল্যবিবাহের সহযোগিতা / সম্পাদনা করার জন্য বাল্যবিবাহ  নিরোধ আইন ২০১৭ এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী মোট ৩২ (বত্রিশ) হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ওই ছাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না—এ মর্মে বর ও কনের অভিভাবকদের নিকট হতে  মুচলেকা নেয়া হয় ।

ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল  বলেন, বাল্যবিবাহ বেআইনি। এতে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে। বাল্যবিবাহ  মাতৃ মৃত্যু, নারী নির্যাতন ইত্যাদির প্রধান অনুঘটক। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ওই গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিবাহের শিকার শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চালিয়ে নিতে উদ্যোগ নেয়া হবে