ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত, আহত ১১

মোখা
  © সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব এখনো শেষ হয়নি। এখনো উপকূলজুড়ে চলছে এর তাণ্ডব। সেন্টমার্টিন দ্বীপ এলাকা অতিক্রম করার সময় দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টার নাগাদ সেন্টমার্টিনে দ্বীপে আঘাত হানে মোখা। বিকেল চারটায় এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সেন্টমার্টিনে দুপুর ১টার দিকে ১০০ কিলোমিটার বেগে, ২টার দিকে ১২১ কিলোমিটার বেগে, ২টা ২০ মিনিটের দিকে ১৫১ কিলোমিটার বেগে এবং ২টা ৩০ মিনিটে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। 

এদিকে বিকেল পৌনে পাঁচটার তথ্য অনুযায়ী সেখানে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে সেন্টমার্টিনের উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্ব দিকের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। সে সঙ্গে কয়েক শ’ গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। 

সেন্টমার্টিনের তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৭টির বেশি হোটেল রিসোর্ট ও কটেজে আশ্রহ নিয়েছে স্থানীয় প্রায় ৬ হাজার মানুষ। বেশির ভাগই শিশু ও নারী।

আরও পড়ুন:  মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড সেন্টমার্টিন, গাছ পড়ে নিহত ২

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান রোববার বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, সকালের দিকে  দ্বীপের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে দুপুর  থেকে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করতে শুরু করে। বেলা দুইটার পর প্রবল গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। এতে লোকজনের ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়ছে। গাছ পড়ে আহত হয়েছেন ১০-১৫ জন। এর মধ্যে একজন নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন বাজারের ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দ্বীপের লোকজনের ঘরবাড়ি, গাছ পালা ভেঙে যাচ্ছে। বিকেল তিনটা পর্যন্ত তিন শতাধিক বাড়ি ভেঙে গেছে। গাছপালা ভেঙেছে শতাধিক। ২০-২৫টি নারকেলগাছ উপড়ে পড়েছে। আতঙ্কে লোকজন ছোটাছুটি করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যারা অবস্থান করছেন, তাঁর ভয়ে কান্নাকাটি করছেন।


মন্তব্য