কুষ্টিয়ায় সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে নিহত একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ১০:০১ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২৩, ১০:০১ PM

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পান্টি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওবায়দুল শেখ ইমন (১৯) এর ছুরির আঘাতে সহপাঠী তানজিল শেখ (১৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা তিনটার দিকে পান্টি স্কুল মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন এর ওয়াসি গ্রামের মনিরুল শেখের ছেলে নিহত তানজিল শেখ (১৮)। সে পান্টি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
স্থানীয়রা জানান, ২০মে শনিবার বেলা তিনটার দিকে পান্টি স্কুল মাঠে তানজিল ও পান্টি গ্রামের মিলনের ছেলে ইমনের মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তার এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এসময় ইমন তার পকেটে থাকা ছুরি বের করে তানজিলের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তানজিলকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেবার পথে সে মারা যায়। এই ঘটনার পর থেকে ইমন ও তার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন বলে জানান তারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তানজিলের বন্ধু স্বাধীন বলেন, কোচিং শেষে আমরা গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে তানজিলের সাথে ফেসবুকের ছবি পোস্ট করা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এসময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ইমন তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এতে আহত হয়ে সেখানেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে তানজিল ।
এ বিষয়ে নিহতের বোন লামিয়া বলেন, তার ভাই কোচিং শেষে পান্টি স্কুল মাঠে পৌঁছালে ইমন ছুরিকাঘাত করে। কিন্তু কী কারণে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানি না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, তানজিল নামের এক যুবককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু ও স্বজনরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরিরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
হত্যার মুল কারণ কেউ স্পষ্ট করতে বলতে পারছেননা। তবে আসামি আটকের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে বলে জানান কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মহসীন হোসাইন।