ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর আবজাল হত্যাকান্ডের মূলহোতা, শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু প্রধান র্যাব- ১১ হাতে আটক
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ১১:০২ PM , আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ১১:০২ PM

আজ গোপন সূত্রের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ি থানার আমতলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার চাঞ্চল্যকর “আবজাল” হত্যাকান্ডের মূলহোতা এবং শীর্ষ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আসামী রাজু প্রধান (৩৫)গ্রেফতার করা হয়। রাজু প্রধান ফতুল্লার দোওভোগের রিয়াজ প্রধানের ছেলে।
র্যাবের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত আবজাল প্রধান এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের সাথে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ই এপ্রিল আবজাল প্রধান প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে দেওভোগ মাদ্রাসা মার্কেট সংলগ্ন হাসেমবাগ যাওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার অন্যান্য সঙ্গীয় ১৫/১৬ জন এর একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল ভুক্তভোগী আবজালকে পূর্ব- শত্রুতার জের ধরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে এবং এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম আবজালকে ধারালো রামদা দিয়ে মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করে এবং অন্যান্য সঙ্গীয় ১৫/১৬ জন মিলে ভিকটিমকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত ও অঙ্গহানী করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আবজালকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং আসামী রাজু প্রধান (৩৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বলে স্বীকার করে। আসামী রাজু প্রধান (৩৫) এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ০২টি হত্যা মামলা, ০১টি অস্ত্র মামলা, ০৩টি ডাকাতি মামলা, ১০টি মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মোট-২৩টি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।