দিনদিন বেপরোয়া হচ্ছে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা গোষ্ঠী, ক্যাম্পে ফের মাদ্রাসা ছাত্র খুন!

রোহিঙ্গা
খুন হওয়া মাদ্রাসার ছাত্র  © সংগৃৃহীত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা গোষ্ঠী। ক্যাম্পের একচ্ছত্র আধিপত্য নেওয়ার চেষ্টায় ভিন্নমত নিশ্চিহ্নের মিশনে নেমেছে তারা। আর দিনের পর দিন অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর। ভয়ে সাধারণ রোহিঙ্গারা জানাতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও। অন্যদিকে ক্যাম্পগুলোর আশপাশে স্থানীয়দের বসবাস অযোগ্য এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে স্থানীয়দেরও।’
 
এদিকে উখিয়ার ৬ নং ক্যাম্পে ফের মো. বশির আহমেদ (১৯) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। নিহত মো. বশির আহমেদ উখিয়ার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক সি/৯
মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে।

সোমবার (৫ জুন) সকালে উখিয়ার উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৬ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক সি-৬ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি স্থানীয়দের বরাতে বলেন, উখিয়ার ৬ নম্বর ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসী সাদ্দামের নেতৃত্বে ৮/১০ জন আরসা সদস্য একত্রিত হয়ে মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ বশিরকে গলায় ও বুকের উপরের অংশে গুলি মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে এপিবিএন ও পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বশিরকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা বলছে- এমন ঘটনা নতুন কোন ঘটনা নয়। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অপরাধ, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম, মাদক পাচার, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপর্কমে জড়িত থাকার যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দিনের পর দিন তারা রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা করছে। বাদ যাচ্ছেনা বাংলাদেশী নাগরিকরাও। স্থানীয়দের গুম করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। তাদের কাছে স্থানীয়রাও নিরাপদ নয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্যাম্পগুলোর আশপাশে স্থানীয়দের বসবাস অযোগ্য এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।’