দুমকিতে মনোনয়ন না পেয়ে আ‘লীগের নেতার পদত্যাগ
- পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
- প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩, ০৯:৪৭ PM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ০৯:৫৩ PM

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা আ'লীগের নেতা ১নং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন মোল্লা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১৭ জুন) সকালে তার নিজের বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ওই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, আ‘লীগে হামলা, মামলা, জেল-জুলুম নির্যাতন ভোগের কোন মূল্যায়ন নেই। নব্য-হাইব্রিডদের অবৈধ অর্থের কাছে আজ আমার মত দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অসহায়। আ‘লীগের পদ-পদবি যেখানে টাকায় বিক্রি হয়, সেই সংগঠনে আমার মতো নি:স্বার্থ ত্যাগী কর্মীদের রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই। পদে পদে লাঞ্চনা, গঞ্জনা, বঞ্চনা ও অপমান অপদন্ত হওয়ার চেয়ে আত্মসন্মান বাঁচাতে আগে ভাগেই সরে যাওয়া শ্রেয়।
ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য তৃণমূলের প্যানেল তৈরীতে জেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী মাঠের জনপ্রিয়তা এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করা হয়নি। অর্থের বিনিময়ে কনিষ্ঠ যুবলীগ নেতার নাম ১নম্বরের তালিকায় দিয়ে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় ও অসম্মান করা হয়েছে। অত্মসম্মান বোধের কারনেই আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে চিরদিনের জন্য ইস্তেফা দিয়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাকতে চাই।
লেবুখালী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউনিয়নবাসী চাইলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, এখনও পদত্যাগপত্র আমাদের হাতে পাইনি। গঠনতন্ত্রে কোথাও নেই যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনয়ন দিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতাও থাকতে হবে। নৌকাতো একটা ৫ জনে চাইলেই ৫জনকে দেয়া যায় না। একজন রাগ, গোসা করতেই পারেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, পদত্যাগের কোন কাগজপত্র হাতে পাইনি। মনোনয়নের ব্যাপারে দেলোয়ারের নাম সন্মানের সাথে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সুপারিশপত্র ও দেয়া হয়েছিল। তিনি মনোনয়ন পাননি। এখানে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, আসন্ন ২নং লেবুখালী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২য় বারের মতো দলীয় মনোনয়ন চান উপজেলা আ‘লীগের ১নং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন মোল্লা। ২০১৮ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। তৎকালীন দলীয় নেতা-কর্মী, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসে ওই সময় তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে নৌকার প্রার্থী শাহআলম আকন চেয়াম্যান নির্বাচিত হন। শাহআলম আকনের মৃত্যুর পর এবারে তার ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন।