ফেনীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু, দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা
- ফেনী প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১০:২৯ AM , আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩, ১০:২৯ AM

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ফেনীতে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর সরবরাহ বেশি। পশু বেশি হওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে খামারিয়া। পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে তাদের ব্যয় বেড়েছে অনেক। সেই অনুযায়ী দাম না পেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা খামারিদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা স্বাস্হসম্মত ভাবে পশু লালনপালন ও বাজারজাত করার বিষয়ে খামারীদের নানান পরামর্শ দিচ্ছেন। চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশু চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার। ফেনীর খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে ৮৮হাজার ২৩ টি গবাদি পশু। ফলে এবার ফেনীতে কোরবানির পশুর সংকট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এক বা একাধিক পশু লালন পালন করছেন।
দাগনভূঞা উপজেলার খামারি ফয়সাল আহমেদ জানান, কোরবানিকে সামনে রেখে তিনি ২১০ টি গরু পালন করছেন। তিনি জানান তার খামারের সব গরু দেশি প্রজাতির। গোখাদ্য ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় পরও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে তিনি এবার লাভবান হবেন বলে জানানা।
বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সীমান্তে গরু চোরাচালান ঠেকানো গেলে খামারিরা লাভবান হবেন বলে জানান ছাগলনাইয়া উপজেলার খামারি আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান গত বছরও শেষ সময় দেশের বাহির থেকে গরু আসায় আমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এমন হলে ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। সেজন্য সীমান্তে নজরদারি প্রয়োজন।
বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, সীমান্ত দিয়ে কোরবানের ঈদে গরু বেশি আসে। অবৈধভাবে কোন গরু যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি সতর্ক রয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীরাও এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। আশা করি দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতায় গরু চোরাচালান বন্ধ থাকবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কোরবানিতে গরু ছাগলের পাশাপাশি ফেনীতে মহিষেরও চাহিদা রয়েছে। কোরবানির জন্য জেলায় ২হাজার ৫৬১ মহিষ প্রস্তুত রয়েছে। যার বেশিরভাগ উপকূলের জেলা সোনাগাজীতে।
সোনাগাজী উপজেলার মহিষের খামারি সাজিদুল ইসলাম জানান, এখানে অন্যান্য পশুর সাথে মহিষ পালনের জন্য বেশি উপযোগী। খরচের পরিমাণও বেশি না। এবার ঈদে বিক্রির জন্য ১৩ টি মহিষ প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি মহিষ গড়ে ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
জেলা প্রাণীর সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান জানান, পশুর যোগান বেশি থাকায় ঈদ বাজার খামারি ও ক্রেতা উভয়ের অনুকূলে আছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের বাইরে থেকে অবৈধ উপায়ে গরু আমতানি বন্ধ রাখতে হবে। যদি আমদানি বন্ধ রাখা যায় তবে দেশীয় খামারীরা লাভবান হবে।