কালাইয়ে স্বামীর কোদালের কোপে স্ত্রীর মৃ্ত্যু!

কালাই
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ  © টিবিএম ফটো

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বৃদ্ধা স্ত্রী আয়শা খাতুনকে (৬০) মাঠের মধ্যে ডেকে নিয়ে কোদালের কোপ দিয়ে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী বৃদ্ধ মোসলেম উদ্দিন (৭৬)। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। 

এ ঘটনা উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামে ঘটেছে। পুলিশের ধারনা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জেরে ওই বৃদ্ধ তার স্ত্রীকে কোদালের কোপ দিয়ে হত্যা করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী।   

ঘাতক স্বামী মোসলেম উদ্দিন উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে। নিহত স্ত্রী আয়েশা খাতুন একই গ্রামর মৃত জয়নাল প্রামাণিকের মেয়ে। 

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধ মোসলেম উদ্দিন শনিবার সকাল থেকে কাদিরপুর গ্রামের উত্তর পাশে মাঠের মধ্যে তার জমির এক কোনায় বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে ডোবায় তরি দিয়ে কাজ করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে মাঠের মধ্যে ডেকে নেন। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে স্বামীর হাতে থাকা মাটি কাটার কোদাল দিয়ে তার স্ত্রীর মাথাতে কোপ মারে। ওই বৃদ্ধা মাটিতে লুটিয়ে পরে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।    

নিহতের ভাই আব্দুস সামাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। আসলে কোথা থেকে কি হয়ে গেল আমরাও বুঝতে পারছিনা। আমার বোনকে যে এভাবে মারা যেতে হবে তা ভাবতেও পারছিনা।

নিহতের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৩) বলেন, আমার বাবা একজন বদমেজাজি স্বভাবের মানুষ।কথায় কথায় বাবা আমার মাকে মারপিট করে। আমি নিজেই বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মার হত্যার মামলা করবো। আমি মার হত্যার বিচার চাই।    

স্থানীয় জিন্দারপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাকে কোদালের কোপ মেরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করছি। 

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, মাঠের মধ্যে স্বামী-স্বীর ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামীর কোদালের আঘাতে স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।