কক্সবাজারে দুই দিনে দুই লাশ, স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কে!
- রবিউল আলম ফাহিম, কক্সবাজার প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:২৯ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:২৯ PM

কক্সবাজার সদরের পৃথক স্থানে দুই দিনে দুই লাশের সন্ধান ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে অথবা চুরি-ছিনতাইয়ে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে কক্সবাজারে, এমন ধারণা করছেন সচেতন মহল। এভাবে একের পর এক নৃশংস মৃত্যু নিয়ে প্রশাসন নিজেরাও বেকায়দায়।
গত শুক্রবার (২৩ জুন) কক্সবাজারের খুরুশকুলে চালক আজিজকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন সকালে খুরুশকুলের মামুন পাড়ার আশ্রয় প্রকল্পের পাশে বশির পাড়ার বিল থেকে মো. আজিজ (৩০) নামে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে শনিবার (২৪জুন) বিকেলে শরের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার ঝাউবাগান থেকে এবাদত উল্লাহ (২০) নামে অন্য এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো মরদেহটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম ঘটিত বিষয় কিংবা ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে খুরুশকুলের আজিজের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে টমটম নিয়ে বাসা থেকে বের হয় নিহত আজিজ। প্রতিদিন রাত ১০টায় বাড়ি ফিরলেও সেদিন ফিরেন নি। কল দিলেও মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার সকাল ১০টার মরদেহ পড়ে থাকার খবর দেয় পুলিশ।
অপরদিকে এবাদত সমিতি পাড়ার নতুন পাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী নুরুল আলমের ছেলে। তিনি পৌর প্রিপ্যারটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের ভাই শরীয়ত উল্লাহ জানান, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরেনি এবাদত। তারপর থেকে মুঠোফোনও বন্ধ। পরে সকালে খবর মিলেছে ঝাউবাগানে মরদেহ পড়ে আছে।
ছুরিকাঘাতে নিহত আজিজের অটোরিকশা চালকের মরদেহের সুরতহাল তৈরি করছেন সিআইডির সদস্যরা।
আজিজের বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হক জানান, স্থানীয় লোকজন বিলের মধ্যে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, পিবিআই ও ক্রাইম সিন টিমের সদস্যরা মিলে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে এসে সুরতাহাল ও আলামত সংগ্রহ করেছে। তার শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত ও রশি দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। কে বা কারা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।