উখিয়ার মরিচ্যায় জমেছে কোরবানির পশুর হাট, শেষ হাট কাল
- কনক বড়ুয়া, উখিয়া:
- প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৩, ১০:১০ AM , আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩, ১০:১০ AM

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭/৮টি কোরবানির পশুর হাট বসলেও জমে উঠেছে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা গরুবাজারের কোরবানির পশুর হাট। শেষ হাট বসবে আগামিকাল বুধবার (২৮ জুন) দুপুর থেকে।
উপজেলা প্রশাসনের ইজারা দেয়া বাজার ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে অনুমোদন বিহীন গড়ে তোলা অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে এক সপ্তাহ আগে থেকে গরু মহিষ ছাগল বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
মরিচ্যা কোরবানির পশুর হাটে ছোট, মাঝারি এবং বড় আকারের গরু পর্যাপ্ত থাকায় ক্রেতারা সামর্থ্য অনুযায়ী কিনছেন কোরবানির পশু। তবে হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে।
একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে চোরাই পথে আসা গরু কোরবানির পশুর হাট দখল করে নিলেও স্থানীয় জনগণের চাহিদা দেশী গরুর প্রতি। বিশেষ করে কৃষক পরিবারগুলোর লালন পালন করা ছোট সাইজের দেশি গরুই সবার বেশি পছন্দ করছেন।
উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা গরু বাজারটি কক্সবাজারের মধ্যে একটি বড় পশুর হাট। বছরজুড়ে এই হাটে প্রতি রবিবার ও বুধবার অনেক দেশি গরুর বেচাকেনা হয়।
অন্যদিকে কোরবানি’র ঈদ আসলেই চলে গরু ছাগল বেচাকেনা। উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের দক্ষিণ মাথা গোয়ালিয়া পালং রাস্তার মাথায় এই বাজার। এই বাজারে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় গরুর বেচাকেনা চলে। তবে এই বাজারটি মহাসড়কের কাছে হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ছাড়াও কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকেও ক্রেতা আসেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে মরিচ্যা গরুবাজারে আসা এক ক্রেতা জানিয়েছে- দুপুর ১টার দিকে এসে পুরো হাট ঘুরেছি। পছন্দ হচ্ছে গরু, তবে দাম মিলছে না। পাঁচটা গরুর দাম নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ন্যায্য মূল্য চাইলেও অর্থের সংকট থাকাতে গরু নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ একটি গরু পরিবারের অনেক সদস্যদের পছন্দ হয়েছে। মাংস যা হয় হোক, পছন্দ হয়েছে তাই ন্যায্য মূল্যে গরু কিনেছি আমরা।
এর আগে রোববারে উখিয়ার কুতুপালং থেকে দুটি গরু হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন ছৈয়দ আলম। তিনি বলেন, একটা গরু বিক্রি করেছি ১ লাখ ৯২ হাজার টাকায়। আরেকটি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। নিজের গরু বিক্রি শেষে কোরবানির জন্য গরু দেখছি মরিচ্যা বাজারে। কমবেশি করে আগামী বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে মরিচ্যা বাজার থেকে কিনবো গরু। আর সময় নেই।
মরিচ্যা বাজারের ইজারাদার সুদত্ত বড়ুয়া চামু জানান, আমাদের বাজারে দেশীয় গরু বেশি উঠে। ক্রেতারাও দেশীয় গরু বেশি পছন্দ করেন। এবারে প্রচুর কোরবানির পশু এসেছে। বেচাকেনা বেশ জমেছে।
এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: পলাশ চন্দ্র রায় জানান- 'উখিয়া উপজেলায় স্থায়ী ৪টি পশুরহাটে এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে বেচাকেনা। শনিবার থেকে নিরাপদ পশু বিক্রিতে হাটগুলো তদারকি শুরু হয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে। এর জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কেনাবেচাই সবাইকে করা হচ্ছে সতর্ক। আগামী হাটে বিক্রি বৃদ্ধিসহ খামারীরা লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করেন তিনি।'
অপরদিকে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উখিয়ার প্রতিটি পশুর হাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।