বাউফলে ছেলে ও ছেলে বৌয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে মায়ের বিষপানে আত্মহত্যা!

পটুয়াখালীর বাউফলে নিজের ছেলে ও ছেলের বৌয়ের যৌথ নির্যাতনের শিকার হয়ে ক্ষোভে-দুঃখে মা চুরা রানী(৫৫) বিষপান করে আত্মহত্মা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মাখম সাজ্জালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই)  বগা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। 

মৃতের স্বামী মাখম সাজ্জাল অভিযোগ করে বলেন, তিনি, তার স্ত্রী চুরা রানী, ছেলে মাধব সাজ্জাল (৩৫), পুত্রবধূ শিখা রানী (২৭) ও নাতি মাধবী (৮) একই ঘরে পার্টিশন তৈরি করে আলাদা বসবাস করেন। ঘটনার দিন বুধবার(৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তার স্ত্রী চুরা রানী তার ছেলেট বৌ শিখার কাছে কিছু চাল ও ডাল চায় রান্না করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু ছেলের বৌ চাল-ডাল দিতে রাজি না হওয়ায় এ নিয়ে বৌ-শ্বাশুড়ীর মধ্যে বাকবিতন্ডতা চলাকালে ছেলে মাধব সাজ্জাল এসে মায়ের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ছেলে ও ছেলের বৌ তার স্ত্রী চুরা রানীকে মারধর করেন। তিনি ওই সময় (মাখম সাজ্জাল) ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে তাকেও ছেলে ও ছেলের বৌ মারধর করেন। এ ঝগড়াঝাটি রাত ১০টা-সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত চলে। এরপর তিনি তার স্ত্রী চুরা রানীকে নিয়ে ঘরে চলে যান। রাত ১টার দিকে ক্ষোভে দুঃখে তার স্ত্রী চুরা রানী বিষপান করেন। রাত ৩ টার দিকে তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সোয়েব বলেন,‘ চুরা রানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইসিজি করে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। তার মুখ থেকে গন্ধ আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিষপান করতে পারেন।’ 

এ ব্যাপারে বগা তদন্ত কেন্দ্রে ফোন দেয়া হলে এসআই বাদল কৃষ্ণ বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন,‘ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে। 

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত  শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।