নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চালক  নিহত

নরসিংদী
  © সংগৃহীত

নরসিংদীতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাস চালক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ জুলাই) সকালে সাহেপ্রতাপ ও পাচদোনার মাঝামাঝি বাগহাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে যানা গেছে।

নিহত মাক্রোবাস চালকের নাম  আবদুল আলিম (৪৫)। নিহত আবদুল আলিম হবিগঞ্জ সদর এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেপরোয়া গতির রয়েল বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচরে গেছে মাইক্রোবাসটি। গাড়িতে সহ গাড়ির নিচে রাস্তায় রক্তে ভেসে গেছে পুরো জায়গা।

হাইওয়ে পুলিশ জানায় , সোমবার ভোরে হবিগঞ্জের বাসিন্দা ইমরান দুবাই থেকে দেশে আসেন। তাকে নিয়ে আসার জন্য মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে যায়। পরে তাকে নিয়ে হবিগঞ্জে আসার পথে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাগহাটা এলাকায় পৌঁছালে কিশোরগঞ্জের মঠখোলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী রয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়।

পরে নরসিংদী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে নরসিংদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ রায়হান এর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এসময় মাইক্রোবাসের ভিতরে আটকা থাকা চালক আবদুল আলিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে তা নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবু খায়ের বলেন, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ ৪ জন যাত্রী ছিলেন। চালক মারা গেলেও বাকিদের  আঘাত গুরুতর নই । মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ঘাতক বাস চালক পালিয়ে গেলে ও বাস আমাদের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রাক্রিয়াধীন।