ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
- ঈশ্বরদী(পাবনা) প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৮ PM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৮ PM

পাবনার ঈশ্বরদীতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবার হাতে ধর্ষনের শিকার হয়েছেন মোছাঃ ফাতেমা খাতুন(৭) নামের এক শিশু। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) শিশুটির পিতা মোঃ ফিরোজ হোসেন(৪০) উপজেলার দিয়াড় বাঘইল এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফাতেমার মা মোছাঃ শারমির আক্তার বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষনের শিকার মেয়েটি সকালে ঘুমাচ্ছিলো। শিশুটির মা মোছাঃ শারমিন আক্তার কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে চলে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটিকে তার বাবা ফিরোজ হোসেন ধর্ষন করেন। ধর্ষনের বিষয়টি শিশুটির বড় ভাই সাব্বির(১২) জানতে পারলে আশেপাশের লোকজন কে ডাকে এবং তার মাকে মুঠোফোনে জানায়। মা শারমিন আক্তার তার মেয়েকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর আগেও ছেলে একাধিকবার ধর্ষনের চেষ্টা করেছে ফিরোজ এবং বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিতে চাইলে মা শারমিন আক্তারকে হত্যার হুমকি-ধামকিও দেন বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
ভুক্তভোগীর মা শারমিন আক্তার বলেন, আমি কাজের উদ্দেশ্যে সকালে মেয়েকে ঘুমে রেখেই বাইরে চলে গেছি। তার একটু পরেই শুনছি আমার মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে তার বাবার কাছে। এর আগেও ছেলে-মেয়ে উভয়ের সাথে এরকম ধর্ষনের চেষ্টা করলে বিষয়টি আমি সবাইকে জানাতে চাইলে আমাকে প্রান-নাশের হুমকি দেন। একজন বাবার কাছে মেয়ে যখন ধর্ষনের শিকার হয় তখন এমন বাবার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই। আমি আমার মেয়ের ধর্ষকের ফাঁসি চাই।
আত্মাীয়স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ধর্ষক ফিরোজ হোসেন আগে থেকে এলাকায় মাদক, ইভটিজিং এর সাথে জড়িত। আমরা এ ঘটনায় ধর্ষক ফিরোজের ফাঁসি চাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাবরিনা হক জানান, মেয়েটিকে তার মা নিয়ে আসলে আমি প্রথমিকভাবে চেক করে ধর্ষনের কিছু নমুনা বুঝতে পেরেছি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ পরিক্ষা- নীরিক্ষা করে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ধর্ষনের ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মেয়েটি কে ডাক্তারি পরিক্ষা-নীরিক্ষা করানো হচ্ছে। রিপোর্ট দেখে ধর্ষক পিতা ফিরোজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।