অধিগ্রহণকৃত জমিতে গিয়ে চেক বিতরণ করলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক

মাগুরা
  © সংগৃহীত

মাগুরায় অধিগ্রহণকৃত স্থানে ক্ষতিপূরণের এলএ চেক বিতরণ করছেন জেলা প্রশাসক। ১৭ জুলাই সোমবার পারনান্দুয়ালী হাউজিং প্রজেক্টের পাশে নদীর ওপারে ব্রীজ সংলগ্ন  নিজনান্দুয়ালী এলাকায় মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক ও কালেক্টর  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ নিজে ভূমি অধিগ্রহণকৃত স্থানে উপস্থিত হয়ে "মাগুরা-শ্রীপুর বাঁক সরলীকরণ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প" এর অধীনে ৪২ জন ব্যক্তির মাঝে মোট ৮,৩১,৯৩,২৩০.৬৯ (আট কোটি একত্রিশ লক্ষ তিরানব্বই হাজার দুইশত ত্রিশ টাকা ঊনসত্তর পয়সা মাত্র) টাকার ৪২ টি এলএ চেক বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তারিফ-উল-হাসান,ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রাখী ব্যানার্জী, মো: সাদ্দাম হোসেন, সহকারী কমিশনার(ভূমি), মাগুরা প্রমুখ।

অধিগ্রহণকৃত স্থানে ক্ষতিপূরণের এল এ চেক বিতরণ করা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন যে, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতেই অধিগ্রহণকৃত স্থানে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান যে, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার একদম শুরু থেকে চেক বিতরণ পর্যন্ত শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে। এই প্রকল্পসহ অন্যান্য অধিগ্রহণ প্রকল্পেও শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে বলে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন। জেলা প্রশাসক সবাইকে আহবান করে বলেন যে, অধিগ্রহণ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিপূরণের চেক পেতে কেউ যেন দালাল বা অন্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে না যায়, বরং তারা যেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সরাসরি জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও তিনি বলেন যে, ভূমি বা অন্য যেকোনো সেবা প্রদান করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহের বুধবারে 'বেঞ্চ হিয়ারিং' এর মাধ্যমে গণশুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। 

ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণকারীরা জানান যে, অধিগ্রহণের কারণে তারা তাদের জমি হারিয়েছেন বটে। কিন্তু জেলা প্রশাসকের নিকট হতে সরাসরি তাদের অধিগ্রহণকৃত জমির উপর দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। চেক পেতে কোন রকম ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার হননি বলেও তারা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।