বগুড়ায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে মিলল নারীর লাশ!
- রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪৮ PM , আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪৮ PM

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বসতঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই) বেলা তিনটার দিকে ধুনট থানা-পুলিশ উপজেলার চান্দারপাড়া গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নারীর নাম মর্জিনা খাতুন (৩৪)। তিনি চান্দারপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের মেয়ে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মর্জিনার মা রওশনারা বেগমকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। এর আগে কৌশলে ফোন করে রওশনারাকে ঢাকা থেকে এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রওশনারা বেগমের সঙ্গে মেয়ে মর্জিনা খাতুন এবং মর্জিনার ছেলে রাব্বি (১৮) ও পুত্রবধূ থাকতেন। সহায়-সম্বল বলতে তাঁদের চান্দারপাড়ার গ্রামের টিনের দুটি ঘর রয়েছে। অভাব–অনটনের মধ্য দিয়ে চলত তাঁদের সংসার। সম্প্রতি মর্জিনা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তাঁর পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ বিষয় নিয়ে তাঁদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে তিন মাস আগে মর্জিনাকে তাঁর ছেলে রাব্বি ও মা রওশনারা মারধর করেন। মারধরে আহত মর্জিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
পরে কাজ করা নিয়ে আবার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মর্জিনার ঝগড়া হয়। এর জেরে গত ৩০ জুন রাতে তাঁরা মর্জিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে তাঁরা লাশটি পুঁতে রাখেন। পরে বসতঘরের দরজায় তালা দিয়ে রওশনারা, রাব্বি ও রাব্বির স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
ঈদের পরদিন হঠাৎ তাঁদের বাড়ি ছেড়ে চলে বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তাঁরা বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান। ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ শনিবার কৌশলে মুঠোফোনে মর্জিনার মা রওশনারাকে ঢাকা থেকে ধুনটে ডেকে নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রওশনারার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, তাঁর বসতঘরের ভেতর থেকে পুঁতে রাখা মর্জিনার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে, তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব হবে না। রওশনারাকে জিজ্ঞাসা করে বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে।বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।