পরশুরামে পুলিশ সোর্স সন্দেহে সিএনজি চালককে পিটিয়ে গুরতর আহত

পরশুরামে পুলিশ সোর্স সন্দেহে মোঃ সোহেল নামের এক সিএনজি চালককে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা গুরতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। 

শুক্রবার (২১জুলাই) রাতে গরু বাজারের হাজারী দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। 

গুরতর আহত  সোহেল অভিযোগ করেন, পরশুরাম সরকারি কলেজের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিতের নেতৃত্বে  ১০/১২ জন তার উপর হামলা করেছে। তারা সবাই গরু বাজারের আশপাশে জুয়া খেলার সাথে জড়িত। এই ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

অভিযুক্ত প্রসেনজিত পৌর এলাকার কোলাপাড়া গ্রামের স্বপন মাস্টারের ছেলে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে পরশুরাম গরু বাজারের উত্তর পাশে সমির বাবুর্চির দোকানে কয়েকজন মিলে জুয়া খেলার সময় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে এই সময় ছাত্রলীগ নেতা প্রসেনজিত নামের একজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রসেনজিত সহ তার সহযোগীরা সিএনজি চালক মো সোহেলকে সন্দেহ করে তাকে দোষি করেন এবং ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। 

সোহেলের বাবা আবদুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে সোহেল শুক্রবার সারাদিন সিএনজি চালিত অটোরিকসা চালিয়ে রাতে ঘরে ফিরে ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এসময় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রসেনজিত তার সহযোগী পাভেল নামের একজনকে দিয়ে  সোহেলকে ডেকে হাজারীর দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রজেনজিতের নেতৃত্বে সোহেলকে ব্যাপক মারধর করে এসসময় প্রসেনজিত সোহেলকে বুকে ও পিঠে লাথি ও ঘুষি মারেন এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গরুতর আহত করেন। 

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, জুয়া সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক সিএনজি চালককে মারধরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন তবে  এর চেয়ে বেশী কিছু তিনি জানেননা বলে জানান।

অভিযুক্ত প্রসেনজিত এর কাছে অভিযোগের বিষয় জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সে কল রিসিভ করেননি।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাত হোসাইন খান বলেন লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।