বরিশালে কম দামে কাঁচামরিচ বিক্রি করায় সংঘর্ষ, নিহত ১

কাঁচা মরিচ
  © সংগৃৃহীত

বরিশালে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে মো. কামাল হোসেন (৩৮) নামের এক সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে নগরীর কাশিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ জন।

নিহত কামাল হোসেন নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাশিপুরের সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে।

আহতরা হলেন- কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪০), তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেক (৬০)। অভিযুক্ত মো. সোহেল রানা (৫০) কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার সোনাবুদ্দিনের ছেলে।

নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ভ্যানে কম দামে সবজি ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন সোহেল রানা। কিন্তু বাজারের সবজি বিক্রেতা এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে মারামারির ও ছুরিকাঘাতে ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, একজনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানান, কাশিপুর বাজারের সবজি বিক্রেতারা ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন। শনিবার সকালে সোহেল রানা বাজারের সামনে এসে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি শুরু করেন। তখন বাজারের সবজি বিক্রেতারা তাকে ওই দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু সোহেল তাতে রাজি হয়নি। পরে বাজারের সবজি বিক্রেতারা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটার ছুরি দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে কামালসহ ৪ জন জখম হন। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনার পরে ছুরিকাঘাতকারী মরিচ বিক্রেতা সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।