দুমকীতে জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলা, দুশ্চিন্তায় কৃষক!
- মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, দুমকী(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩৩ PM , আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪৪ PM

টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও প্রবল জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমনের বীজতলা তলিয়ে আছে। এতে বীজ পঁচে যাওয়ার শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন পটুয়াখালী জেলার দুমকীর কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৬ হাজার ৬শ' ৭০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জমি চাষাবাদের জন্য ৪শ' ৯০ হেক্টর জমিতে কৃষক আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন।
এছাড়াও শ্রাবনের শেষের দিকে অনেক কৃষক আমনের খেত তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিলেও জলাবদ্ধতার কারণে তা পারছেন না। বীজ পঁচে গেলে কৃষকদের বেশি দাম দিয়ে বীজ কিনে জমিতে রোপন করতে হবে। কৃষকরা জানান, বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হতো না যদি জোয়ারের এত চাপ না থাকতো।
সোমবার (৭ আগষ্ট) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রাজাখালী, চরবয়েড়া, সন্তোষদী, দক্ষিণ মুরাদিয়া, জলিশা, জামলা, সাতানী, লেবুখালি, কার্তিকপাশা, বাঁশবুনিয়া, আলগী, হাজীরহাটসহ আরও অনেক অঞ্চলে জলাবদ্ধতায় বীজতলা ডুবে রয়েছে। উঁচু স্থানের বীজতলা কিছুটা ভালো থাকলেও নিচু স্থানের বীজতলার বীজ জলাবদ্ধতায় পানির নিচে পঁচে যাচ্ছে।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন, মান্নান সিকদার, মতলেব খান, শামীম মৃধা, সরোয়ার তালুকদার, মিজান খলিফা, মজিবর গাজীসহ আরও অনেকে জানান, তারা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বীজ পানির নিচে পঁচে যাচ্ছে। দু'একদিনে পানি না সরলে বীজ সম্পূর্ণ পঁচে যাবে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করার সময় এখন হাতে নেই। বীজ এভাবে পঁচে গেলে এ বছর অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে দুমকীর নিম্নাঞ্চল এখনো ডুবে আছে। তবে দ্রুত পানি সরে গেলে বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ উপজেলার কৃষকেরা প্রধানত আমনের ওপর নির্ভরশীল। এভাবে যদি বৃষ্টিপাত চলতেই থাকে আর জোয়ারের পানিও না নামে বীজতলার ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। পরিশেষে লোকসানের ঘানি টানতে হবে কৃষকদের।