ঈশ্বরদীতে শোক দিবসের প্রথম প্রহরে যুবলীগের মোমবাতি প্রজ্বলন বিক্ষোভ মিছিল

শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন ও জামায়াত-বিএনপির নাশকতার প্রতিবাদে প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলা যুবলীগের একাংশ নেতাকর্মী।

সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটের সময় পৌর শহরের আকবরের মোড় এলাকায় যুবলীগ কার্যালয়ের সামনে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাসের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে জড়ো হন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে মোমবাতি রেখে শ্রদ্ধা জানান ও প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে লতিফ হাজ্বীর মিলের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

বক্তব্যে দোলন বিশ্বাস বলেন, ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস বাঙ্গালী জাতির অবিশ্বরনীয় একটি দিন। এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাসহ তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। এই দিনে বাঙ্গালী জাতি শোক পালন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আর জামায়াত-বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র ও নাশকতায় লিপ্ত হন। তাই জামায়াত-বিএনপির নাশকতা রুখতে আমরা সর্বসময় প্রস্তুত আছি। শোকাবহ এ আগষ্টে জামায়াত-বিএনপির কোন ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবেনা। তারা কোন নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সজিব মালিথা, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন অবুঝ, সাবেক ছাত্রনেতা মিজান মালিথা, সাবেক ছাত্রনেতা মাইনুল হাসান রাজন সহ উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, বাঙালি জাতির জীবনে গভীর শোক ও বেদনার মাস আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল এবং পত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালসহ পরিবারে ১৭ জন।