ঈশ্বরদীতে গ্রেনেড হামলা দিবসে যুবনেতা দোলন বিশ্বাসের উদ্যেগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ঈশ্বরদী
  © টিবিএম ফটো

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে নাররকীয় ওই হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও যুবনেতা তোহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস।

সোমবার(২১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে চারটা পৌর শহরের আকবরের মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে আওয়ামীলীগ নেতাদের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। পরে মিছিলটি বাজার এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুবনেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাসের উদ্যেগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আনুষ্ঠানিক সুচনা উদ্ধোধন করেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসাহক আলী মালিথা। উপস্থিত ছিলেন, মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মালিথা, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আজাহার আলী মালিথা, পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুরাদ আলী মালিথা, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস জাহিদ হাসান, পৌর যুব মহিলালীগের সহ-সভাপতি শাম্মি আক্তার সহ আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।

প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। 

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ আরও অনেকে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। পুরো আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। গ্রেনেড হামলার মূল অপরাধী তারেক জিয়াকে দেশে এনে তার শাস্তি কার্যকর করতে হবে। তারেক জিয়া তার পিতা জিয়াউর রহমানের মতো দুধর্ষ ঠান্ডা মাথার খুনি, সে ঠান্ডা মাথায় এসব খুনের নির্দেশ দিয়েছে। এদেশের মাটিতে খুনি তারেক জিয়ার সাজা কার্যকর করা হবে।

বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচন এলেই একটি দল, একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপতৎরতায় লিপ্ত হয়। কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত, কখনো হরকাতুল জিহাদ, বিভিন্ন নামে এই মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে, মানুষকে ভোট দিতে নিষেধ করে, নির্বাচন যাতে না হয় সেই চেষ্টা চালায়। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন আটকাতে পারেনি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে হয়ে যায়, ২০১৮ সালেও নির্বাচন হয়ে যায়। এই নির্বাচনগুলো হয়েছিল বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সৈয়দ আলী জিরু,  উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র  সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রশীদুল্লাহ,  উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  বকুল সরদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম বিশ্বাসও মুরাদ মালিথাসহ আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।