লাইভে এসে লঞ্চ থেকে লাফ দিয়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ী

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের কারী এমদাদুল্লাহর ছেলে রাজা আসাদুল্লাহ (৩৮)। তিনি পেশায় মুরগির খামার ব্যবসায়ী। এ ব্যবসার জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা ঋণ নেন। অতিরিক্ত সুদের কারণে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে ১১ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হন। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন রাজা আসাদুল্লাহ। এ সময় ফেসবুকে ওই লাইভ তার ভাগ্নি প্রথমে দেখতে পেয়ে রাজার পরিবারকে জানান। তবে কোন লঞ্চ থেকে এবং তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন রাজার পরিবার।

নিখোঁজ ডায়েরি ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজা পেশায় একজন মুরগির খামার ব্যবসায়ী ছিলেন। তার এ ব্যবসার জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা দেনায় ছিলেন। হয়তো সেই কারণে নিজে আত্মহত্যার জন্য নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।

নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নিখোঁজ রাজা মো. আসাদুল্লাহর স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, প্রায় ১১ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয় রাজা। এরপর মাঝে-মধ্যে রাতের বেলা কল দিয়ে কথা বলত। তবে পাওনাদারদের ভয়ে মোবাইল ফোন বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকত। হঠাৎ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে আমার ভাগ্নি আঁখি আমাকে জানায় তার মামা রাজা ফেসবুক লাইভে এসে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। এরপর স্বজনরা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই কোতোয়ালি মডেল থানায় নিখোঁজ জিডি করেছি।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ জিডি করেছেন তার স্ত্রী। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।