বসুন্দিয়ায় বসতঘরে অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব পুড়ে ছাই, নগদ টাকা সহ ১২লক্ষ টাকার ক্ষতি

যশোর
  © টিবিএম ফটো

যশোর সদরের বসুন্দিয়ায় বসতবাড়িতে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা ও মালামাল পুড়ে ছায় হয়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী বৈদ্যুতিক মিটারে বা মেইন সুইচের থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বসুন্দিয়ার বানিয়ারগাতি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল হামিদ মোল্যার বসতবাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের এতটায় ক্ষিপ্রতা ছিল যে, মাত্র ১৫/২০ মিনিটেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরের টিন ও অন্যান্য আসবাবপত্র,আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে আশেপাশের নারকেল গাছের পাতা গুলোও। তিন কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের ভিতরের কোন কিছুই অক্ষত উদ্ধার করা যায়নি। প্রতিবেশি ও আশপাশের মানুষের প্রাণপণ চেষ্টায় পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও ততক্ষণে সব পুড়ে শেষ। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের

একমাত্র পূত্রবধূ ২কণ্যার জননী আব্দুল হামিদ মোল্যার ছেলে বদরুল আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, আমি আমার ছোট শিশুকন্যকে গোসল করিয়ে ঘরে গিয়ে দেখি আগুন জ্বলা শুরু হয়ে গেছে তখন আমার শাশুড়িকে জানিয়ে দৌড়ে চাচা শশুর ইলেট্রিক মিস্ত্রী আব্দুল হাই’কে জানাই। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগে ফোন করে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে বলে দেন।

এরপর সবাই ছুটে এসে পানিদিয়ে আগুন নিভাতে শুরু করে এবং ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পরে আগুন নিভে যায়। এবিষয়ে কথা বলতে গেলে বাড়ির কর্তা আব্দুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সর্বস্ব হারিয়ে তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন বৈদ্যুতিক মিটারে বা মেইন সুইচের থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভয়নগরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পরে তারা ফিরে যান। 

এব্যাপারে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এ এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারনে আগুন লেগে পুরো বাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তবে কোন মানুষ হতাহত হয়নি।