গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ মেটাতে স্বামীর ডাকাতি

পিবিআই
  © সংগৃহীত

দেড় বছর আগের ক্লুলেস একটি ডাকাতি মামলার আসল রহস্য উদঘাটন করেছে মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এ ডাকাতি করেছিলেন স্বামী। অভিযুক্ত জাহিদ মোল্লা (৪২) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মশাইজান গ্রামের আফতাব মোলার ছেলে। 

পিবিআই সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ৬ মার্চে রাতে ১০ জনের একটি ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে সিংগাইর উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামে আরিফ মোল্লার বাড়িতে ডাকাতি করে। এসময় তারা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কানে থাকা ৮ আনা ওজনের দুজোড়া কানের স্বর্ণের দুল, দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় সিংগাইর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. আরিফ।পুলিশের তদন্তে এ মামলার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় চলতি বছর মার্চে মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর নির্দেশে পিবিআই মানিকগঞ্জ এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান।  

এসআই (নিঃ) হিরণ চন্দ্র মজুমদার মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জানতে পারেন গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ মেটাতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন জাহিদ। সঙ্গে নেয় ফরিদপুরের আরেক বিশ্বস্ত ডাকাত বাবু কবিরাজ(৩৫)কে। এতে বেরিয়ে আসে ক্লুলেস এই ডাকাতি মামলার আসল কাহিনী।

প্রথমে মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ফরিদপুর থেকে বাবু কবিরাজকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।     

পিবিআই মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্ত জাহিদ ও বাবু করিরাজকে রোববার গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।    


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ