সেতুর স্লাবে রডের পরিবর্তে সুপারির চটা!
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ PM

সেতু মেরামতের কাজে রডের পরিবর্তে সুপারির চটা দিয়ে স্লাব নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে সেতুর কয়েকটি স্লাবের কিছু অংশ। ঘটনাটি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার। বুধবার সকালে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। ভাঙা সেতুটি ও সুপারির চটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় দু’টি সেতুসহ বেশ কিছু পুরাতন কাজ মেরামতের জন্য এলজিইডি ২০২১-২২ অর্থ বছরে কাউখালী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ৬টি কাজের জন্য একটি দরপত্র আহবান করে। যার ব্যয় ধরা হয় ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার পাঁচশ’ টাকা। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া খাল গোড়ায় নুরুল ইসলাম শরীফের বাড়ির সামনে একটি আয়রন ব্রিজের মেরামত কাজ করে পিরোজপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু নির্মাণের কয়েক মাস পরেই ব্রিজের উপরের স্লাবগুলো ভেঙে যায়। রড দিয়ে এ স্লাবগুলো তৈরির কথা থাকলেও ঠিকাদার ঢালাইয়ের ভেতর সুপারি গাছের চটা ব্যবহার করেন। বুধবার সকালে এর কয়েকটি স্লাব ভেঙে পড়লে মুুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কাউখালী উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবু সাঈদ মিঞা জানান, এ ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। পরে তাদের এক সভায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কাউখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা এটিকে একটি অব্যবস্থাপনা বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখও প্রকাশ করেন। পাশাপাশি যারা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) কাউখালী উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান, এটি আমাদের করা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। লোক পাঠিয়ে দেখেছে এলজিইডি থেকে নির্মাণ করাগুলোতে রডই রয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী লাভলু খান সাংবাদিকদের জানান, এক দেড় বছর আগের ঘটনা এখন কি বলবো? এ কাজ আমি কাউখালীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন, যখন স্লাব ঢালাই দেওয়া হয়েছিল তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধি আসেনি কেন বা দেখেনি কেন? এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে।