জমি দখলের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে, তিন জনকে পিটিয়ে যখম

পাবনা
  © সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়ি ভাংচুর ও একই পরিবারের তিন জন কে পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খন্দকার মিলনের বিরুদ্ধে। 

রবিবার(১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ষ্টেশন পাড়া গ্রামে এ ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

 মারধরের শিকার একই পরিবারের তিন ভুক্তভোগী হলেন, মৃত বাবুল খন্দকারের স্ত্রী রেনু আক্তার(৫০), মৃত আব্দুল গফুর খন্দকারের ছেলে কে এম রানা(৪০) ও কে এম রানার স্ত্রী মোছা: শাবানা আক্তার(৩৮)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী পরিবার যুবলীগ নেতা মিলন খন্দকার সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী রেনু আক্তার বলেন, আমার বসতবাড়ির বেহাল অবস্থা থাকায় তা মেরামত করতে ছিলাম। হটাৎ করেন খন্দকার মিলন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে এ জমি তার বলে দাবী করে ভাংচুর শুরু করে। এমতাবস্থায় আমার দেবর ও তার স্ত্রী বাঁধা দিতে আসলে তাদের সহ আমাকে  হাতে থাকা লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে যখম করে। পরে স্থানীয় কয়েকজন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগী কে এম রানা বলেন, আমার বড় ভাইয়ের অসুস্থতার কারনে তার চিকিৎসার জন্য আমার ভাবী যুবলীগ নেতা মিলন খন্দকারের কাছে  তিন শতক জমি বন্ধক দিয়ে কিছু টাকা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আমার ভাই মারা যাওয়ার পর আমার ভাবী তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে লিখিতভাবে নির্দিষ্ট নথিপত্রের মাধ্যমে বন্ধককৃত জমি ছাড়িয়ে নেন। আজ হটাৎ করে এ যুবলীগ নেতা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে জমি দখল করার চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা দিলে মিলন খন্দকার সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী বসতবাড়ি ভাংচুর সহ আমাদের মারধর করে। শুধু মাত্র তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য তার এ তান্ডবলীলার শিকার আমরা। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে যুবলীগ নেতা মিলন খন্দকারের সাথে মুঠোফোনে কথা বল্লে  তিনি অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, অভিযোগকারীরা সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই-বোন। আর যে জমি কে কেন্দ্র করে এসব ঘটনা সে জমি টা আমার। জমির কাগজপত্র আমার নামে রয়েছে। আর আমার জমির উপর কেউ বাড়ি করতে আসলে আমি তো বাঁধা দিবই। মারধরের বিষয়টি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। আমি সেখানে কোন মারামরি করি নাই। দুপক্ষের মধ্যেই হাতাহাতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, দুুপক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ