দুমকীতে রোপা আমনে পোকার আক্রমণ, দুশ্চিন্তায় চাষিরা! 

দুমকী
  © বাংলাদেশ মোমেন্টস ফটো

মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সদ্য রোপা আমন চারা। আর এতে বিপাকে পড়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন স্থানীয় চাষিরা। 

বুধবার (১৩ সেপপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর, পাঙ্গাশিয়া, আঙ্গারিয়া ও লেবুখালী ইউনিয়নের সর্বত্র‌ই বিশেষ করে উঁচু জমিতে কৃষকেরা শ্রাবন মাসে যে সকল আমন ধানের চারা রোপন করেছিলেন তা মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। কোন কোন ক্ষেত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। কেউ কেউ গাছের ডাল পুঁতে দিয়েছেন জমিতে। 

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের স্যানের চর গ্রামের চাষি মোশারফ হাং ও  মতিউর রহমান বলেন, আমাদের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে আমন রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। জমি চাষ করে আবার চারা রোপন করতে হবে। 

মুরাদিয়া'র কালেখা গ্রামের চাষি কালাম প্যাদা বলেন, আমাদের এখানে ৮/১০ একর জমির আমন ও ইরি ধানের রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ২য় বার জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পাইনি। 

মুরাদিয়া'র ৬নং ওয়ার্ডের অপর এক চাষি জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, জমি চাষাবাদ করে বীজ রোপণ করতে ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে বেশ খরচ হয়েছে। এরপর সার ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন শেষ রক্ষা হয়নি। আমাদের এলাকার সকল কৃষকের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। 

পাঙ্গাশিয়া'র নলদোয়ানীর চাষি শাহজাহান মুন্সি বলেন, আমার একপ্লটে ৩ একর জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপনে ৪০হাজার টাকা খরচ হয়েছ। এখন সম্পূর্ণ জমির চারা মরে গেছে। 

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীম খান ও তানিয়া আক্তার বলেন, আমরা কৃষকদের সরেজমিনে গিয়ে এর প্রতিকারে পরামর্শ দিচ্ছি। ইতিমধ্যে কৃষকদের রোপা আমন ক্ষেতে ৫০/১০০ মিটার দূরত্বে গাছের  ডাল পুঁতে ও পোকা নিধনের জন্য আলোর ফাঁদ দিতেছি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, ভিরটাকো, এস‌এম‌এস ও বেড‌এক্সার্টসহ বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগসহ প্রাকৃতিক উপায়ে এসব পোকার উপদ্রব কমানো সম্ভব।