মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক
- আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৪ PM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৪ PM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক শিহাব উদ্দিন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগীর মায়ের দায়ের করা মামলায় পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শিহাব উদ্দিন লাখাই উপজেলার সাতাউক গ্রামের সালেহ আহাম্মদের ছেলে। তিনি নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুরে অবস্থিত জামিয়া ইসলামীয়া তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্বভাগ ইউনিয়নের জামিয়া ইসলামীয়া তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় পড়াকালীন সময়ে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল শিক্ষক শিহাব উদ্দিন। গত ২৩শে আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে শিহাব। বিষয়টি কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ঐ ছাত্রীকে প্ররোচিত করে সে। পরবর্তীতে গত ৯ই সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে ফোন করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আবারো ধর্ষণ করে শিহাব উদ্দিন। ধর্ষণের পর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
পরে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করলে ওইদিন রাতেই আসামী শিহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর মা ও মামলারবাদী জানান, শিহাব উদ্দিন আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমরা শিহাব উদ্দিনের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা ছাত্রী ও শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বসা হয়েছে। আজও আবার বসার কথা ছিল। মাদ্রাসা থেকে ছাত্রী-শিক্ষক উভয়কে বের করে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া জানান, অনেকদিন আগে এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছিলাম। ইদানিং কি হয়েছে জানিনা। এব্যাপারে খোঁজ নিচ্চি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই লাখাই উপজেলা থেকে অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আদালতের মাধ্যমে শিহাব উদ্দিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।