কালাই সাব-রেজিস্ট্রি চত্বরে হাঁটু সমান পানি

বগুড়া
  © টিবিএম ফটো

বগুড়া-জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত জনগুরুত্বপূর্ণ কালাই উপজেলা প্রাঙ্গণে একটু বৃষ্টিতেই জমে থাকে এক হাঁটুপানি।গত তিনদিন থেকে সাব-রেজিস্টার অফিসসহ অন্যান্য অফিসের রাস্তা বিরতিহীন প্রচন্ড বৃষ্টিতে হাঁটু সমান পানিতে ভরপুর হয়ে গেছে।এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য সেবাগ্রহীতাগণ।পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় পানি সরতে অনেক সময় লেগে যায় এবং প্রশাসনের অবহেলার কারণে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

তিন সারিতে প্রশাসনিক ভবনগুলো।দুই ভবনের সামনের রাস্তা পাঁকা।অন্যটি স্যাঁতসেঁতে ইটের রাস্তা।রাস্তার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে উপজেলা পরিষদ।রাস্তার পশ্চিমে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস,বিআরডিবি,যুবউন্নয়ন,সেটেলমেন্ট ও আনসার ভিডিপি কার্যালয় এবং সাব-রেজিস্টারের অফিস।এসব অফিসের একটিমাত্র রাস্তা হওয়ায় আকাশ থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই প্রতিটি কার্যালয়ের সামনে জমে থাকে হাঁটুপানি।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবাগ্রহীতাদের।অফিসগুলোর যাতায়াতের রাস্তার বেহাল দশা।দীর্ঘদিন ধরে যেন এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরের।

এদিকে,উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষদের সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতি সপ্তাহের বুধবার ও বৃহস্পতিবারে।এই দুইদিন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল হয়।এই দুইদিন প্রায় দুইশত মানুষের আনাগোনা হয়।গেটের প্রবেশমুখে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সবসময় কাঁদা জমে থাকার কারণে সেবাগ্রহীতারা অনেকসময় ছোটখাটো দুর্ঘটনায় পতিত হন।

স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সুজাউল ইসলাম বলেন,প্রশাসনের গাফলতির কারণে গত ১৫ বছর ধরে এই স্যাঁতসেঁতে পিচ্ছিল কাদাযুক্ত রাস্তার উপর দিয়ে তাদের অফিসের কাজকর্ম করতে হয়।অথচ সদিচ্ছা থাকলে এমন পরিস্থিতি একদিনেই ঠিক করা যায়।সেটাই কারও মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।এখানে যেতে চাইলে দুর্ভোগ পোহাতেই হয়।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম জানান,কার্যালয়ের সামনে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনসহ জায়গাটির সৌন্দর্য বর্ধনে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি জানান,তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব সময় সজাগ রয়েছেন।আবারও উদ্যোগ নেয়া হবে।সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে রাস্তার বিষয়ে আগামী মাসিক সভায় উত্থাপনের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন,উপজেলা পরিষদ চত্বরে যাতে করে পানি জমে না থাকে,সে জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।